রাজশাহী লাইভ: রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (রামেক) ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে এমবিবিএস ৫২তম ব্যাচের র্যাগ ডে উদযাপন নিয়ে শহীদ জামিল আখতার রতন হোস্টেলে প্রস্তুতি চলে। এসময় মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপুর সঙ্গে শিবির নেতা রাকিবের তর্কবিতর্ক হয়।
রাকিব ঘোষণা দেয় র্যাগ ডে উদযাপন করতে দেয়া হবে না। তারা যে কোন মুল্যে প্রতিরোধ করা হবে। তখন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ করলে উভয় সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ছুটে আসেন ক্যাম্পাসে।
পরে রাত আড়াইটা পর্যন্ত কলেজের নূর-উন নবী ছাত্রাবাসে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ কয়েকটি চাইনিজ কুড়াল, ধারালো অস্ত্র, জিহাদি বই ও মার্বেল পাথর জব্দ করেছে।
এসময় পুলিশ দুটি ছাত্রাবাসে অভিযান চালিয়ে রামেক শাখা শিবিরের সভাপতিসহ চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, রাত দুইটার পর থেকে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত শিবির নেতাকর্মীদের জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে। গুলিবর্ষণের সঙ্গে জড়িত শিবির কর্মীর পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
রামেকে ছাত্রলীগ সভাপতি অপু বলেন, উত্তেজনার একপর্যায়ে ২৫ থেকে ৩০ জন ছাত্রশিবির নেতাকর্মী সমবেতভাবে হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সংগঠিত হয়ে ছাত্রশিবিরকে পাল্টা প্রতিরোধ করেন।
এসময় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে শহিদ জামিল আখতার রতন হোস্টেল ত্যাগ করে।
তিনি জানান, পালানোর সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিয়ে ছাত্রশিবির রামেক শাখার সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও রেটিনা কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপক ছাত্রশিবির নেতা আরিফুল ইসলাম রাহাতকে ধরে ফেলে। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে, এ ঘটনার পর পুলিশ নূর উন নবী হোস্টেলে তল্লাশি চালায়। এসময় শিবিরের সাথী তৃতীয়বর্ষের গোলাম রাব্বী এবং কর্মী একই বর্ষের মিজানুর রহমানকে আটক করে।
ঢাকা, ০৭ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: