Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

সবজি বিক্রেতার ঘরে থেকে মেডিকেলে চান্স পাওয়ার গল্প

প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবার ২০১৯, ২৩:৩৭

পাবনা লাইভ : তৃষা পারভীনের বাবা সবজি বিক্রি করে সংসার চালান। ভাই-বোনদের মধ্যে সবার ছোট তৃষা। অভাবের কারণে ভাই বোনদের পড়ালেখা হয়ে ওঠেনি। তবে নিজের চেষ্টায় অভাবের মাঝেও পড়াশোনা চালিয়ে যান। অদম্য ওই প্রতিভা দমিয়ে রাখতে পারেনি অভাব। অদম্য সেই তৃষা এবার মেডিকেলে চান্স পেয়েছেন। তবে অর্থাভাবে তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তিনি হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তৃষা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে।

জানা গেছে, সামান্য কয়েকশতক জমিতে সবজি উৎপাদন করে বাজারে বিক্রি করেন তৃষার বাবা মজিবর রহমান। দুই ভাইও কৃষক। তাদের সামান্য আয়ে কোনো মতে চলে সংসার। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট তৃষা। সংসারে অভাব অনটনের কারণে পড়াশোনা করা অবস্থায় ছোট বেলায় বড় দুই বোনের বিয়ে দেন বাবা মজিবর। ছোট বেলা থেকেই খুব মেধাবী ছাত্রী ছিল তৃষা। তিনি সারুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এরপর মাধ্যমিকে ভাঙ্গুড়া মমতাজ মোস্তাফা আইডিয়াল স্কুল থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাশ করেন। এরপর তৃষা ভর্তি হন রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজে। সেখান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

তৃষার এমন সাফল্যে আনন্দে ভাসছে পুরো পরিবার। শুধু পরিবারই নন, তৃষার এমন সফলতায় খুশি গ্রামবাসীরাও। কিন্তু চিন্তায় পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তৃষাকে কীভাবে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করবেন? আর কীভাবে পড়াশোনার খরচ চলবে-এমন দুঃশ্চিন্তায় পরিবারের লোকজন। অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে তৃষার মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে।

তৃষার ভাই কাওছার আলী বলেন, বোন (তৃষা) মেডিকেলে চান্স পেয়েছে এতে খুশি। কিন্তু আর্থিক অনটনের সংসার। অনেক কষ্টে বোনকে এতদূর এনেছি। মেডিকেলে ভর্তি করাসহ পড়াশোনার ব্যয় বহনের মতো আর্থিক সঙ্গতি আমাদের নেই। তাই কীভাবে বোনের ভর্তির টাকা যোগাড় হবে আর কীভাবে পড়াশোনার খরচ চালাবো তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছি।

ভাঙ্গুড়া মমতাজ মোস্তাফা আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহীনুর রহমান বলেন, তাদের (তৃষা) অভারের সংসার। আমাদের স্কুলে সে যখন পড়তো, তখন আমরা তাকে বিনামূল্যে খাতাকলম ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করেছি। এখন সে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে শুনে খুব ভালো লাগছে। কিন্তু পরিবারের দারিদ্রতার কারণে তার উচ্চশিক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

ঢাকা, ১৯ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ