লাইভ প্রতিবেদক : প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস আর টেকনিক অবলম্বন করলে জীবনে সফল হওয়া যায়। এবছর মেডিকেলে ভর্তিতে প্রথম হয়ে এমন উদাহরণ তৈরি করেছেন রিজভী তৌহিদ। অসম্ভব মেধাবী আর আত্মবিশ্বাসী এ ছেলেটি ভর্তি হয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। চলুন শুনে নেয়া যাক তার সফলতার গল্প।
জানা গেছে, রিজভী ময়মনসিংহের ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখা থেকে মাধ্যমিক ও সরকারি আনন্দ মোহন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আজমতপুর গ্রামে। বাবা আবদুর রাজ্জাক কলেজশিক্ষক আর মা রেহেনা পারভীন গৃহিণী। একমাত্র ছোট ভাই আইনুন নিশাত রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে।
রিজভী স্কুলজীবনে কোনো ক্লাসে কখনোই প্রথম হননি। নবম-দশম শ্রেণিতে হয়েছিলেন সপ্তম। এটাই ছিল স্কুলের ক্লাসে তার সবচেয়ে ভালো অবস্থান। জানালেন, ক্লাস ফোরে পড়ার সময়ই নিজের রুটিন নিজেই তৈরি করে নিয়েছিলেন—প্রতিদিন সকালে স্কুল, বিকেলে খেলা, সন্ধ্যার পর পড়তে বসা।
রিজভী জানালেন, তিনি বেশি পড়ি না। অল্প পড়েন কিন্তু মনোযোগ দিয়ে পড়েন।
রিজভী মনে করেন, পরীক্ষা হলো ‘স্নায়ুর খেলা’। স্নায়ু উত্তেজিত না করে খুব স্বাভাবিক ভাবে পরীক্ষা দিতে পারলেই সাফল্য পাওয়া সম্ভব।
রিজভী গল্পের বই পড়তে পছন্দ করেন। রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ ভালো লেগেছে তার। এছাড়া রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর কবিতা খুব ভালো লাগে। হুমায়ুন আজাদের “সাহস” কবিতাটিও তারা বারবার পড়তে ভালো লাগে।
কেবল পড়াশোনা নয় খেলাধুলায়ও অনন্য রিজভী। স্কুল দলের হয়ে বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল, ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশ নিতেন। আন্ত:কলেজ প্রতিযোগিতায়ও আনন্দ মোহন কলেজের হয়ে হ্যান্ডবল দলে খেলেছেন।
রিজভীর আরও একটি পছন্দের বিষয় হলো সংসদীয় বিতর্ক। ২০১৩ সালে স্কুলের হয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিতর্ক প্রতিযোগিতায়ও অংশ নেন।
রিজভীর পরামর্শ : যারা শিক্ষাজীবনে ভালো ফল পেতে চায়, তাদের জন্য রিজভীর পরামর্শ একটাই—নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকা। এই একটা অভ্যাস যে তাকে কতটা প্রভাবিত করেছে, বোঝা যায় তার স্কুলজীবনের দিকে তাকালে। চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মাত্র একদিনই তিনি স্কুল কামাই করেছেন। প্রতিবছর ‘সেরা উপস্থিতির’ পুরস্কারটা নিয়ে তার সঙ্গে কেউ কোনো দিন প্রতিযোগিতা করারও সাহস পায়নি! তাই রিজভী সফলতার জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস করার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা, ১৭ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: