আদালত লাইভ: 'বেসরকারি মেডিকেল কলেজে বিদেশি কোটা কেন ৫০ শতাংশ' একথা জানতে চায় আদালত। এসব প্রতিষ্ঠানে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে ৫০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ ক্যাম্পাসলাইভকে এক কথা জানিয়েছেন। এই রুলে প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার পরেও ২০১৬-১৭ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক, ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজ, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ ও বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী নিজে। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। সঙ্গে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর এ রিট আবেদন করেন আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। ওই রিটের শুনানিতে আজ রুল জারিসহ নির্দেশনা দেন আদালত।
আইনজীবী ইউনুস আলী বলেন, মেয়েদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা অযৌক্তিক। এতে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা ভর্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। অথচ বিদেশি শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েই সে সুযোগ পাচ্ছে। তাই আদালতের দারস্থ হয়েছি।
চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘বিদেশি কোটায় দেশি শিক্ষার্থী ভর্তি’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুলিপি সংযুক্ত করা হয় রিট আবেদন করা হয়। ওই রিটের শুনানিতে মঙ্গলবার এই আদেশ দেন আদালত।
এ প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শিক্ষাবর্ষে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ৪০ শতাংশ কোটা বরাদ্দ ছিল। এতে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। ১১-১২ শিক্ষাবর্ষে বিদেশি কোটা ছিল ২৫ শতাংশ। ওই সময়ও ৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি।
হাতেগোনা কয়েকটি মেডিকেলে ১৫-২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। এরপরও প্রতি বছর বেসরকারি মেডেকেলে বিদেশি কোটা ৫-১০ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়। সর্বশেষ চলতি বছরে আরও ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়। এবছরও ৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি।
ঢাকা, ১৫, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এএসটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: