Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শাবিতে সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আল্টিমেটাম

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০১৭, ০১:১৩

 

শাবি লাইভ: ছাত্রীকে যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের দুই সাংবাদিক নেতার ওপর হামলাকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান সাংবাদিকদের সংগঠন ‘‌‌‌‌‌‌‌‌‍শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’র উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান মুক্তির সভাপতিত্বে এবং চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের ফারুক মেহেদী ও এসএ টিভির মুস্তফা মনওয়ার সুজনের যৌথ পরিচালনায় মানববন্ধনের পর বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী ছাত্রলীগে এখন অনেক অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। যাদেরকে হাইব্রিড ও কাউয়া বলা হয়। এসব অনুবেশকারীরাই সংবাদ কর্মীদের ওপর হামলা করছে। তাদের কর্মকান্ডে সরকারের অভূতপূর্ব সুনাম ও ছাত্রলীগের ঐতিহ্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় শাবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি সঞ্জিবন চক্রবর্তী পার্থসহ জড়িত নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপশি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়েছে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক শাহানা শিউলি, ঢাকাস্থ নোয়াখালী সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রুবেল, আরটিভির ফারুক খান, শাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আশরাফ কবীর, সমকালের রমাপ্রসাদ বাবু, যুগান্তরের নাঈমুল করীম নাঈম ও আবু তাহের টোটন।

কর্মসূচিতে সংহতি জানান, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, ডিআরইউর সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, এনজেএফ’র সহ সভাপতি ফিরোজ আলম মিলন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মওদুদ আহেম্মেদ সুজন।

উপস্থিত ছিলেন, শাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাঈদ আবদুলাহ যীশু, আলোকিত বাংলাদেশের মো. জাহিদুল ইসলাম, বাংলা নিউজের তাহজীব হাসান, যুগান্তরের গাজী সাদেক, শাবি প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি জাবেদ ইকবাল ও সাবেক সদস্য সচিব কাজী রাকিন, সাংবাদিক এমইউ শিমুল, শেয়ার বিজের হাসান আদিল প্রমুখ।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, শাবিতে ড. জাফর ইকবালের মতো শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শিক্ষক রয়েছেন। সেখানে ছাত্রলীগের হাতে কিভাবে সংবাদ কর্মীরা প্রকাশ্যে হামলার শিকান হন, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

ডিইউজে’র যুগ্ম সম্পাদক শাহানা শিউলি বলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগের গৌরবময় ঐতিহ্য নষ্ট করতে কতিপয় শিক্ষার্থী অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।

শাবি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ও ফোরামের উপদেষ্টা ইমাম হাসান মুক্তি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীর হামলা শাবিপ্রবির শিক্ষার পরিবেশ হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এতে ছাত্রলীগের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি শিগগিরই ব্যবস্থা না নিলে সাংবাদিকরা কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

ঢাকাস্থ নোয়াখালী সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান রুবেল, এ হামলার ঘটনায় দ্রুত বিচার না হলে ঢাকার সাংবাদিকরা বসে থাকবে না।

ফোরামের সভাপতি ফারুক মেহেদী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের ব্যাপারে কঠোর ভুমিকা নেয়ার আহ্বান জানান।

ফোরামের সহ সভাপতি ফারুক খান বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা কোনোভাবে মেনে নেয়া হবে না। দোষী যে দলেরই হোক শাস্তি পেতে হবে।


ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুস্তফা মনওয়ার সুজন বলেন, শাবি ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত আমাদের দাবি নয়। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রম না থাকলে প্রতিক্রিয়াশীলদের উত্থান ঘটবে, যা কাম্য নয়। তিনি সাংবাদিক নির্যাতনে জড়িত শাবি শাখার অভিযুক্ত সভাপতিসহ জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান।


শাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলী আশরাফ কবীর বলেন, ছাত্রলীগে এখন অনেক অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। যাদেরকে তিনি কাউয়া ও হাইব্রিড বলে অভিহিত করেছেন। এদেরকে সমূলে উৎপাটনের জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।


সমকালের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক রমাপ্রসাদ বাবু বলেন, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পুলিশ প্রশাসনে নিরবতায় তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।


যুগান্তরের মফস্বল সম্পাদক নাঈমুল করীম নাঈম বলেন, আগেও ছাত্রদল ও শিবির ক্যাডারদের হাতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এবার ছাত্রলীগের হাতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি এর প্রতিকার চান।

 

ঢাকা, ১৭ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ