নেত্রকোনা লাইভ: মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে মৃত ব্যক্তিদের ভোট ও ভুয়া ভোটার তৈরি করে নিজের পছন্দ মত কমিটি গঠনের অভিযোগ ওঠে। পরে তদন্তে সেই অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার আনন্দপুর আলিম মাদ্রাসায়।
উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. দেলোয়ার হোসেন তদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ পান। পরে সেই অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেমের কাছে জমা দেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির বিষয়টি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৬ অক্টোবর ভোটের মাধ্যমে আনন্দপুর আলিম মাদরাসার অভিভাবক সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি, দাতা সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নির্বাচিত হয়। পরে তাঁদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা হয়। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় লিয়াকত আলী। এ নির্বাচনের ভোটার তালিকায় মোট ৪৯৭ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে তিন অভিভাবক সদস্য বেশ কিছুদিন আগেই মারা গেছেন।
এ ছাড়া ওই মাদরাসায় কোনো শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে না এমন আরও ৪০-৪৫ জনকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে ওই মাদরাসার ছাত্র অভিভাবক আহসানুল কবির ১০ নভেম্বর ইউএনও বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনা তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. দেলোয়ার হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। ১০ জানুয়ারি তিনি ইউএনও বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিন তদন্ত করা হয়। পরে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সেই অনুযায়ী প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হাসেম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। এখনও দেখা হয়নি। তবে প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার প্রমাণ থাকলে বিধি অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: