পঞ্চগড় লাইভ: দাখিল পাস করা শিক্ষার্থীদের না জানিয়েই অনলাইনে তাদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠেছে মাদরাসার অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে। এদিকে আবেদন সম্পন্ন হওয়ায় নিজেদের পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আলিম মাদরাসায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, এই মাদরাসা থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী এবারের দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৯ জন শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। এদিকে গত ৮ ডিসেম্বর থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেদিন শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কম্পিউটার কম্পোজের দোকানে আবেদন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়।
কারণ, আবেদন প্রক্রিয়ায় তাদের আবেদন পেমেন্ট দেখানো হচ্ছে। ওই দিনই শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কক্ষে প্রশংসাপত্র এবং মার্কশিট তুলতে যায়। এ সময় অধ্যক্ষ জানান শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য কোনো আবেদন করতে হবে না। এই কলেজেই ভর্তি হতে হবে।
শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষকে জানান আমাদের ফলাফল ভালো হয়েছে, আমরা পছন্দমতো কলেজে ভর্তি হব। তাছাড়া আমাদের না জানিয়ে কেন অনলাইনে আবেদন করলেন। এ সময় রাগান্বিত হয়ে অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক এক শিক্ষার্থীকে হেনেস্তা করে ধাক্কা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোজাম্মেল হক শিক্ষার্থীদের বলেন, যদি কোনো শিক্ষার্থী অন্য কলেজে ভর্তি হতে চায় তাহলে সবাইকে পাঁচ হাজার টাকা মাদরাসায় জমা দিয়ে প্রশংসাপত্র নিতে হবে। তবে কেন টাকা দিতে হবে শিক্ষার্থীদের এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, এখান থেকে পাস করেছো এজন্য দিতে হবে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা এ বিষয় ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়।
এ ঘটনায় পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে অধ্যক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রামাণিক মুঠোফোনে জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করার অধিকার মাদরাসা অধ্যক্ষের নেই। কোনো ছাত্র দাখিল পাস করার পর একাদশ শ্রেণিতে তার পছন্দমতো কলেজ ভর্তি হতে পারবে, এটা তার অধিকার। তবে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি আমার অফিসে এসে বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে চেয়েছেন।
এদিকে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক বলেন, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা, ১২ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: