কুষ্টিয়া লাইভ: হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্রকে (১২) বলাৎকারের অভিযোগ তুলে ৪ শিক্ষককে মারধর করেছেন ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা। সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার মোহাম্মদীয়া হাফেজিয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মারপিটের শিকার ব্যক্তিরা হলেন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আলহাজ জুবায়ের, সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা মোতালেবুর রহমান ও হাফেজ মো. মিজবা উদ্দিন।
ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা জানান, মিজবা দুদিন আগে আমার ছেলেকে বলাৎকার করেছে। সোমবার দুপুরে ছেলে বাড়ি এসে বিষয়টি জানালে ক্ষোভে উত্তেজিত হয়ে হুজুরকে পিটিয়েছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব জুবায়ের জানান, মাদরাসায় ওই ছাত্র পড়ে চারতলায়। আর পাঁচতলার শিক্ষার্থীদের মারধর করতো। নিষেধ করলেই ওই ছাত্র বাড়িতে বলে দেয়। একই সঙ্গে তার বাবার ভয় দেখাতো। সোমবার সকালে অন্যান্য ছাত্রদের মারধর করে ও তাকে নিষেধ করা হলে হুমকি দিয়ে বাড়িতে চলে যায়। পরে একই দিন বিকেলে ওর বাবা ও চাচা এসে মারপিট শুরু করে দেন।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা বলেন, মাদরাসাটি সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এরকম ঘটনা সেখানে ঘটেনি। অহেতুক ওই ছাত্রের বাবা ও চাচা মাদরাসায় ঢুকে সব শিক্ষককে মারধর শুরু করেন।
মাদরাসাটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আব্দুর রহিম বলেন, ছেলেটি সকালে শিক্ষকদের মারপিটের হুমকি দিয়েছিল। আর বিকেলেই বাপ-চাচা দিয়ে মারপিট করেছে। মাদরাসায় কোনো খারাপ ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) কমিটির সবার সঙ্গে বসা হবে। বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কী করা যায়।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি মো. মহসীন হোসাইন মুঠোফোনে বলেন, সারাদিন বাইরে ছিলাম। এমন ঘটনা জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।
ঢাকা, ০৮ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: