
লক্ষ্মীপুর লাইভ: লক্ষ্মীপুরে ২০ মিনিট দেরি হওয়ায় সাত শিক্ষার্থীকে জীববিজ্ঞান পরীক্ষা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে কেন্দ্র সচিব তাদের পরীক্ষার হল থেকে বের করে দিলে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরীক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার ২০ মিনিটের দিকে উপজেলার আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা।
ওই সাত শিক্ষার্থীরা হলো- জিয়া উদ্দিন, আকিব হোসেন, তাজরিন জাহান, আরমান হোসেন, রুমানা আক্তার, শরীফুল ইসলাম ও নুশরাত জাহান ইতি। তারা সকলে চর আবদুল্যাহ ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী।
ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবদুল হাকিমের সঙ্গে আলেকজান্ডার কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা তৈয়ব আলীর ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব রয়েছে। সেই দ্বন্দ্বের কারণেই কেন্দ্র সচিব তৈয়ব আলী তাদেরকে পরীক্ষায় বসতে দেননি বলে তারা অভিযোগ করেছে।
পরে শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শান্তনু চৌধুরী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (একাডেমিক সুপারভাইজার) কার্যালয়ে গেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষক রবি শংকর চন্দ্র দাস তাদেরকে জানান, নির্ধারিত তারিখে জীববিজ্ঞান পরীক্ষা হবে না। তাই তারা ওইদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবার কোনো প্রস্তুতি রাখেনি। কিন্তু সকালে কেন্দ্র থেকে তাদেরকে অন্য এক মাদ্রাসা শিক্ষক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানান। খবর পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে কেন্দ্রে ছুটে যায় তারা। এরই মধ্যে তাদের ৪০ মিনিট দেরি হয়ে যায়। এ কারণে হল সুপার তাদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেন। ফলে তাদের পরীক্ষা না দিয়ে ফিরে আসতে হয়।
এ ব্যাপারে হল সুপার ও আলেকজান্ডার কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. তৈয়ব আলী বলেন, দ্বন্দ্বের বিষয়টি সঠিক নয়। জীববিজ্ঞানের পরীক্ষায় ৭ জন পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে (বেলা ১১টা) পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারী শিক্ষককে অবহিত করা হয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তিনি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এজন্য নিয়ম অনুযায়ী তাদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম শান্তনু চৌধুরীর মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও বক্তব্য জানা যায়নি।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র সুপারকে শোকজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানের কোনো গাফলতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: