চুয়াডাঙ্গা লাইভ: চুয়াডাঙ্গায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে রোববার পুলিশ কনস্টেবল প্রকাশ্যে চুমু খেয়েছেন মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে। এনিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এঘটনায় গ্রামবাসী মাদ্রাসাটি ঘেরাও ঘরে। তোপের মুখে অভিযুক্ত কনস্টেবল শাহাবুর রহমান ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পান। পরে তাকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর দাখিল মাদ্রাসায় রোববার স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি চলছিল। পুরস্কার বিতরণী চলাকালে বেগমপুর ক্যাম্পের কনস্টেবল শাহাবুর রহমান (৮৪৭) সাদা পোশাকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে কয়েকজন ছাত্রীর পাশে বসেন। সেখানে এক ছাত্রীকে টার্গেট করে তিনি ছাত্রীদের সঙ্গে খাতির জমানের চেষ্টা করেন। সেখানে উপস্থিত সুন্দরী এক ছাত্রীর মোবাইল নম্বর চান। মোবাইল নেই বলে জানান ওই ছাত্রী। এসময় কনস্টেবল ওই ছাত্রীকে বলেন তুমি খুব সুন্দর। সেই সঙ্গে ছাত্রীর গালে চুমু দেন তিনি। এ ঘটনা কয়েকজন ছাত্রী দেখলেও কিছু বলতে সাহস পায়নি।
অনুষ্ঠান চলাকালেই ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের কাছে ঘটনাটি জানিয়ে দেয়। পরে এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এলাকার লোকজন মাদ্রাসাটি ঘেরাও করে। তবে তার আগেই সম্ভাব্য ঘটনা আঁচ করতে পেরে অভিযুক্ত কনস্টেবলসহ পুলিশদল মাদ্রাসার আঙিনা ছেড়ে ক্যাম্পে চলে যায়। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দার বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন। পরে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনকে জানানো হলে অভিযুক্ত কনস্টেবলকে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছাত্রীরা জানায়, ওই কনস্টেবল অনেকক্ষণ ধরে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করছিল। সুপার হুজুরকে জানানো হলেও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি।
মাদ্রাসা সুপার আরেফ উল্লাহ জানান, অনুষ্ঠানে যেহেতু ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। আমি তাকেই সব দায়িত্ব দিয়েছি। তিনি যেটা মঙ্গল সেটাই করবেন। ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার জানান, আমি এলাকার বিক্ষুব্ধ মানুষকে শান্ত করেছি। ঘটনা যেটা ঘটেছে খুবই আপত্তিকর। তবে অভিযুক্ত কনস্টেবল শত শত মানুষের মাঝে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। বেগমপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মাসনুন আলম বলেন, অভিযুক্ত কনস্টেবল ওই ছাত্রীকে খুব সুন্দর বলেছে। মোবাইল নম্বর চেয়েছে এবং তার চোয়ালে হাত দিয়েছে। তবে চুমু খাওয়ার কথা হয়তো ঠিক নয়।
ঢাকা, ২৬ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: