
লাইভ প্রতিবেদক: ৪টি উপায় শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ওই চার উপায় হচ্ছে নিয়মিতভাবে বিশ্রাম বা ঘুমনো। সঠিক এবং ভালো খাবার গ্রহণ করা। এছাড়াও প্রয়োজনে উপবাস করা। সর্বো শেষ পদ্ধতী হচ্ছে নিয়ম মেনে ব্যায়াম করা।
আসলে আমরা ওজন নয় চর্বি গলাতে চাই। চর্বি গলানোর প্রধান বাধা হচ্ছে ইনসুলিন। তাই আমরা এমন খাবার খাব যেন ইনসুলিনটা কম থাকে। এছাড়াও খালি পেটে যদি আপনি ব্যায়াম করেন, তাহলে এই চর্বিটা গলতে আর বাধা নেই।
এবিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মানব দেহের ওজন কমাতে এমন খাবার খেতে হবে, যেখানে শর্করার পরিমাণ কম থাকে। আর আমিষের পরিমাণ থাকবে ২০ শতাংশ। আর উপকারী চর্বি থাকবে ৭০ শতাংশ।
মনে রাখতে হবে, ফল যেমন সুস্বাদু তেমনই অবসাদ দূর করে। ফল ফাইবার ও প্রাকৃতিক চিনি সমৃদ্ধ। অতিরিক্ত ক্ষুধা থেকে ব্যক্তিকে দূরে রাখে ফল। ফাইবার ও পেকটিন চর্বি কমিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় শরীরে চর্বি এবং ক্যালরি জমতে দেয় না ফল। তাই গরমে নিজেকে সুস্থ রাখতে, শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকায় ফল রাখা উচিত। জেনে নিন গরমে কী কী ফল খাবেন।
তরমুজ: বিকেলে হঠাৎ খিদে পেলে অনায়াসে খেয়ে নিতে পারেন এক টুকরা তরমুজ। প্রচুর পানি সমৃদ্ধ তরমুজ হজমশক্তি উন্নত করে। শরীরের বাড়তি ক্যালরি ঝরাতেও সাহায্য করে তরমুজ। রসে ভরপুর তরমুজে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩০ ক্যালরি আছে।
বেরি জাতীয় ফল: পেটের সমস্যার জন্য দারুণ কার্যকর বেরি। বিশেষ করে ব্ল্যাক বেরি ও ব্লু বেরি। দুটিই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। সকালের নাস্তায় ওটমিলের সঙ্গে বেরি মিশিয়ে খেতে পারেন। ওজন কমবে দ্রুত।
বাতাবি লেবু: প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ বাতাবি লেবু হজমে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্যও বাতাবি লেবু উপকারী। ওজন কমাতেও কার্যকরী বাতাবি লেবু।
লাউ: গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখে লাউ। প্রচুর পরিমাণে পানি সমৃদ্ধ লাউয়ে ক্যালরি ও ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। অম্বলের ভয়ে অনেকেই রাতে লাউ এড়িয়ে চলেন। কিন্তু লাউ খুবই হালকা সবজি। রাতে লাউ খেলে বদহজম বা অম্বলের কোনো ভয় থাকে না। বরং শরীর ঠাণ্ডা থাকে।
শশা: শশার পুরোটাই পানি। ফলে গরমে শরীর আর্দ্র রাখতে শশার বিকল্প নেই। অনেকেই শুধু শশা খেতে পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে শশা দিয়ে বানাতে পারেন রায়তা কিংবা স্যান্ডউইচ। শশার রস করেও খেতে পারেন। হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
পেয়ারা: পেয়ারা ফাইবার সমৃদ্ধ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ভূমিকা রাখে। পেয়ারা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। একটি পেয়ারায় আছে চারটি আপেল ও চারটি কমলালেবুর সমান পুষ্টিগুণ। এতে আরও আছে প্রচুর পরিমাণ পানি, ফাইবার, ভিটামিন এ, বি, কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও খনিজ পদার্থ। পেয়ারা ভিটামিন সি–এর ভালো উৎস।
ঢাকা, ২৯ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: