Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৪, ১০ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
ঘুমানোর আগে যে খাবার খাবেন...

কোন খাবার খেলে ওজন কমে?

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০৫:৪৪

লাইভ প্রতিবেদক: গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস অনেকেরই আছে। আবার অনেককে অফিসের কারণে রাত জাগতে হয়। সে সব ক্ষেত্রে রাতে ভরপেট খেলেও মাঝ রাতে আবার ক্ষুধা লাগে। পুষ্টিবিদদের মতে,এই সময় ক্ষুধা পাওয়াটা অনেকটাই মানসিক। অনেকেই এই সময় চিপস্, কেক, চকোলেট খান। এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ে।

কেউ কেউ আবার ক্ষুধা চেপে রেখেই শুতে চলে যান। এতেও কিন্তু ক্ষতি হয়। তা হলে মাঝরাতে কী খেলে ক্ষুধাও মিটবে আর ওজনও বাড়বে না?

ক. অনেকেই ভাবেন কলা খেলেই মোটা হয়ে যাবেন। এটা একেবারেই নয়। এই ফল খেলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকায় এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখে। তখন অন্য খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যায়। ফলে ওজন বাড়ার ভয়ও কমে।

খ. গভীর রাতে ক্ষুধা লাগলে কয়েকটা কাঠবাদম খেয়ে নিতে পারেন। এতে ক্যালরির পরিমাণ কম। এই বাদামে একসঙ্গে রয়েছে ফাইবার আর প্রোটিন। এই দুই উপাদানই ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকে।

গ. এ ক্ষেত্রে পিনাট বাটারও আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতেই পারে। প্রোটিনে ভরপুর চীনাবাদাম পেশি তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে মজুত ট্রিপটোফান ঘুমের মধ্যেই ক্যালরি ঝরাতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পিনাট বাটার খেলে ওজন কমবে। কলার সঙ্গে এই মাখন খেলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়। কলায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। ট্রিপটোফানের সঙ্গে মিশে এই দুই উপাদান আরও তাড়াতাড়ি ওজন কমায়।

ঘ. ঘুমের মধ্যে পেশি গঠনের জন্য দই খুব ভাল। রাতে এক বাটি দই খেলে দ্রুত হজম হয়। দইয়ে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকার কারণে ওজন কমাতেও এটি খুব কার্যকর। তবে মিষ্টি দই নয়, টক দই কিংবা গ্রিক ইয়োগার্ট খেলেই মিলবে ভালো ফল পাওয়া যাবে

ঙ. রাতে খাবার পরেও যদি ক্ষুধা পায় সে ক্ষেত্রে ছানা খাওয়া যেতে পারে। প্রোটিনে সমৃদ্ধ ছানা মানব দেহে পেশি সুগঠিত করতে সাহায্য করে। ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে মাত্র দু’চামচ ছানা খেলে বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। মেদ ঝরাতেও এটি সাহায্য করে। এটি একটি পুরানো ধারণা হলেও এটি কার্যকর।

ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে-

ডিমের সাদা অংশ
ডিম প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। ডিম খেলে ওজন বাড়ে কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। তবে ওজন কমাতে চাইলে ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলাই ভালো। যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা একটি ডিম রাখুন সকালের নাস্তায়। পুরো দিনটি শরীরে কাজ করার ক্ষমতা পাবেন। পাশাপাশি ওজন কমাতে পারবেন।

বাদাম
কাঠবাদাম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো একটি খাদ্য। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার এবং উপকারী তেল আছে যা ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী। বাদামের ফাইবার ক্ষুধা কমায়। তবে খেয়াল রাখবেন বাদামে অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে, তাই প্রতিদিন ২০ গ্রামের বেশি খাবেন না।

আপেল
আপেল যে ওজন কমাতেও একটি কার্যকরী খাবার এটি অনেকেই জানেন না। আপেলে প্রচুর ফাইবার থাকে যা ক্ষুধার উদ্রেক কমায়। এবং শরীরে জমে থাকা ফ্যাট কাটতে সাহায্য করে। তাই ক্ষুধা লাগলে অস্বাস্থ্যকর হাবিজাবি খাবার না খেয়ে আপেল খান।

ফুলকপি
ফুলকপি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর ফাইবার রয়েছে, তাই খাওয়ার পর পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে। ফলে অধিক ক্যালরির খাবার থেকে বিরত থাকা যায়, তাই ওজনও কমে। তা ছাড়াও এতে ইন্ডোল, গ্লুকোসাইনোলেট এবং থায়োসাইনেট রয়েছে যা শরীর থেকে টক্সিন বের করতেও সাহায্য করে।

দারুচিনি
দারুচিনি রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন এক চা চামচ দারুচিনি খাওয়া দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।

কমলা
এই সাইট্রাস ফলটি ভিটামিন সি তে ভরপুর। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি। এটি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

ক্যাপসিকাম
লাল, হলুদ কিংবা সবুজ যে কোন ধরণের ক্যাপসিকাম খেতে পারেন রান্নায় ব্যবহার করে। ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। এই ভিটামিন সি খুব সহজে ও খুব দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে।

ওটস
ওটস অনেক পুষ্টিকর এবং ফাইবার যুক্ত একটি খাবার। ওটস হচ্ছে ওজন কমানোর খুব ভালো একটি খাদ্য উপাদান। সকালের নাস্তায় এক বাটি ওটস খেলে ওজন খুব দ্রুত কমে যায়।

লেবু-মধুর পানীয়
ওজন কমাতে দুটি প্রাকৃতিক উপাদান লেবু ও মধুর সম্পর্কে অনেকেই জানেন। ওজন কমানো ছাড়াও লেবু ও মধুর অনেক গুণাগুণ আছে। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে। শরীরের ভেতরের নালীগুলোর সব ময়লা বের করে দেয়। মেটাবলিজম বা হজম শক্তি বাড়ায়, ফলে ওজন কমে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ