লাইভ প্রতিবেদক: মহামারি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর বিশ্বব্যাপী প্রাদুর্ভাব ও দ্রুত বিস্তার চলমান একটি ঘটনা। কোভিড-১৯ একটি বিশেষ ভাইরাসের কারণে সংঘটিত হয়ে থাকে। শ্বাসযন্ত্রীয় রোগলক্ষণসমষ্টি সৃষ্টিকারী এই করোনা ভাইরাস ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের হুপেই প্রদেশের উহান নগরীতে চিহ্নিত করা হয়।
কোভিড মহামারিকালীন সময়ে বাংলাদেশে প্রায় ২৪ লাখ শিশুর জন্ম হবে। একই সঙ্গে বৈশ্বিকভাবেও এর প্রভাবের মধ্যে আনুমানিক ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হবে। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য সেবা চাপের মুখে পড়েছে। চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ প্রবাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে চরমভাবে।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে প্রসূতি মা ও নবজাতকদের রূঢ় বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে লকডাউনের মতো নিয়ন্ত্রণমূলক নানা পদক্ষেপ থাকলেও মহামারি সামলাতে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলো হিমশিম খাচ্ছে। অবস্থা ও সরঞ্জামের ঘাটতি ও ধাত্রীসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড-১৯ রোগীদের সেবাদানে নিয়োজিত হওয়ায় শিশুর জন্মের সময় দক্ষ লোকবলের ঘাটতি পড়েছে। যার ফলে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে মা ও শিশু।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মা মাতৃত্বের স্বাদ নেওয়ার বিষয়ে চিন্তিত। করোনা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন। লকডাউন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাপের মুখে থাকায় তারা জরুরি সেবা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। “করোনা ভাইরাস মহামারী মাতৃত্বের ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে তা এখন কল্পনা করাও কঠিন।”
সম্প্রতি ইউনিসেফ সতর্ক করে জানিয়েছে, কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপসমূহ শিশুর জন্মকালীন সেবার মতো জীবনরক্ষাকারী স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত করতে পারে। যা লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা মা ও তাদের সন্তানদের বিরাট ঝুঁকিতে ফেলবে। মহামারী ঘোষণার পর নয় মাসে যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিশুর জন্মের আশা করা হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে, ভারত (দুই কোটি এক লাখ), চীন (এক কোটি ৩৫ লাখ), নাইজেরিয়া (৬৪ লাখ), পাকিস্তান (৫০ লাখ) ও ইন্দোনেশিয়া (৪০ লাখ)। এগুলোর অধিকাংশ দেশে মহামারীর আগে থেকেই নবজাতকের উচ্চ মৃত্যু হার ছিল এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে এই হার আরও বাড়তে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কোভিড-১৯ সংকটের কারণে স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ উল্লেখযোগভাবে কমে গেছে। দেশের ৬৩টি জেলা হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ৩৩টিতে এখন সব ধরনের জরুরি গর্ভকালীন ও প্রসূতি সেবা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: