Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২৯শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রেমিকরা যেমন হয়

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০১৭, ০৫:০৯

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করছেন আর প্রেম আসেনি জীবনে। এমন শিক্ষার্থী কালেভদ্রে পাওয়া যায়। তবে একেক জনের প্রেম একে হয়ে থাকে। তাহলে মিলিয়ে নিন আপনি কোনটা...

পার্ট টাইম প্রেমিক : এরা বাপু পৃথিবীর বিচিত্রময়তায় বিশ্বাসী। এদের স্লোগান হলো, বাদ যাবে না একজন সুন্দরীও। তাই এরা চক্রাকারে ঘুরতে থাকে এ ডাল থেকে ও ডালে, সিনিয়র ব্যাচ থেকে জুনিয়র ব্যাচে। এদের হৃদয় আটলান্টিক মহাসাগরের চেয়েও প্রশস্ত। কাজের বুয়ারাও কখনও কখনও সেখানে ডুব দিয়ে জল পান করে। এরা প্রকাশ্যে কমই বের হয়। এদের ক্যাম্পাসের প্রিয় রাস্তা হলো নিজের হল থেকে লেডিস হল পর্যন্ত। প্রায় সময়ই এদের পছন্দের লেডিস হলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় প্রিয়তমার নরম হাতে রান্না নুডলসের বাটির অপেক্ষায়। তবে এখন লাইনে কে আছে, সেটা আপনার-আমার মতো আমজনতা গুগল সার্চ করেও বের করতে পারবে না।

প্রফেশনাল প্রেমিক : প্রেমই এদের কাছে মুখ্য বিষয়, বাকি সব নস্যি। রাস্তায়, লাইব্রেরিতে, সাইফুল মামা, মনির মামার দোকানে যত্রতত্র এদের দেখতে পাবেন। এরা পরস্পর সুপার-গ্লু দ্বারা আটকে থাকে। এরা মূলত প্রেমকে বেচে বেঁচে থাকে। প্রতিদিন সকালে একসঙ্গে নাশতা কিংবা বিকালে একসঙ্গে না হাঁটলে এদের বদহজম হয়, শরীরের গিঁটে গিঁটে ব্যথা করে। প্রেমিকার কথা ছাড়া এরা এক নাম্বার কি দুই নাম্বার কোনো কাজেই যাওয়ার সাহস পায় না।

সাইলেন্ট প্রেমিক : বাইরের লুকিং দেইখা মনে হয় মেয়েদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলে তাই জানে না এতটা ইনোসেন্ট ফেস। কিন্তু এদের কেস স্টাডি রেকর্ড পুরাই উল্টো। যদি পিক আওয়ারে (রাত ১২টার পর) একবার তার রুমে যাওয়ার সৌভাগ্য হয় তাহলে বুঝবেন, মামা একখান চিজ। ডান হাতে একটা, বাম হাতে আরেকটা মানে একটা ফেসবুকে আরেকটা ফোনে চালাচ্ছে।
ছবি : লেখক

নিশাচর প্রেমিক : কোনো রোমান্টিক স্বপ্নে আপনি বিভোর। স্বপ্ন দেখতে দেখতে এমন পর্যায়ে চলে গেছেন, যে পর্যায়ে গিয়ে জীবনানন্দ দাশও লিখে ফেলেছিলেন_ আমাকে দু'দণ্ড শান্তি দিয়েছিল বনলতা সেন। সেই রোমান্টিক মুহূর্তে আপনার সব স্বপ্ন চুরমার করে ভেঙে দিয়ে একজন বলে উঠবে, মামা একটা রিচার্জ কার্ড হবে! রাত তখন ২টা ৩০ মিনিট। হুম, ইনারাই হলো নিশাচর প্রেমিক। রাতে সিনিয়র থেকে জুনিয়র সবার রুমে এরা টহল দিতে সদা প্রস্তুত। কারণ মাত্র একটা কার্ড চাই, তা হোক ২০ টাকার কার্ড ৩০ টাকা। এরা এদের প্রয়োজনীয়তা জানা সত্ত্বেও কোনো এক অজানা কারণে এদের কাছে রিচার্জ কার্ড থাকে না।

হাফ ডেটিংয়ের প্রেমিক : হা হা হা । ক্যাম্পাসের ১০০ গজের মধ্যেও এরা কেউ কারও ছায়া মাড়ায় না। দেখলেই মনে হবে কেউ কাউকে চেনেই না। এদের ডেটিং শুরু হয় ক্যাম্পাসের ওই নির্দিষ্ট এরিয়ার পর থেকে। আবার ডেটিং শেষেও সেই ঐতিহাসিক জায়গা থেকে পরস্পর আলাদাভাবে রুমে চলে আসে।

ভিতু প্রেমিক : এরা সবসময় মিডিয়ার আড়ালে থাকতে চায়। ভাবে, পরিচিত কেউ দেখে ফেলবে নাতো! মানে ভাবটা এমন যে, ডুবে ডুবে পানি খাব, একাদশীর মাও জানবে না। এদের ধারণা, ক্যাম্পাসে নাকি কিছু স্যার আছে 'মহব্বতইন' মুভির অমিতাভ বচ্চনের মতো। তারা দেখলে সিজিপি'র ২টা বাজিয়ে দেবে।

বেচারা প্রেমিক : এরা গার্লফ্রেন্ডের ভ্যানিটি ব্যাগ হিসেবে কাজ করে। সকালের নাশতা, বিকালের পাস্তা সবই এরা কিনে এসে তার সোনা পাখিকে লেডিস হলের গেটে দিয়ে আসে। কখনও কখনও গার্লফ্রেন্ডের ভ্যানিটি ব্যাগ এরাই বহন করে নিয়ে যায় তার জানেমানটার কষ্ট হয় বলে। এদের ফেসবুক পাসওয়ার্ড প্রেমিকা চাহিবামাত্র দিতে বাধ্য থাকে।

বীর পুরুষ প্রেমিক : এদের ধারণা, পৃথিবীতে প্রেম এখনও এদের জন্যই টিকে আছে। এরা ডোন্ট কেয়ার ভাব। নিজের টাকা দিয়ে প্রেম করি, তাতে কার বাপের কী? তবে এদের ফেভারিট ডায়ালগ হলো, সিজিপিএ খাব না মাথায় দেব, জাস্ট এনজয় ম্যান।


রাজীব নন্দী
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়


ঢাকা, ১৯ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ