Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ২০শে এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

করোনা প্রতিরোধে যে সব খাবার প্রয়োজন...

প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০২২, ০৬:৩৮

লাইভ প্রতিবেদক: মহামারি করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে পুষ্টিকর খাবার মানব দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। করোনয় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাড়ছে। তাই এখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মানবদেহের জন্য মাংস, মাছ, ডিম ও দুধের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় তাজা ফল ও শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ সব খাবার খাওয়ার পাশাপাশি এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো পরিহার করতে হবে। ফলে শরীর সুস্থ থাকবে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে। আর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ডায়েটের দিকে অবশ্যই বিশেষ নজর দিতে হবে। অন্যদিকে যারা এখনো করোনায় আক্রান্ত হননি, তাদেরও স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। এজন্য বেশি করে তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ কারণে শরীরের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ও মিনারেলের জোগানও দিতে হবে বলে জানা গেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে।

এবার তাহলে করোনা সংক্রামণের রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ জেনে নেওয়া যাক, বেশি করে ফল ও সবজি খেতে হবে। মাংস, মাছ, ডিম ও দুধের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় তাজা ফল ও শাকসবজি রাখুন। এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে লেবু, গম, ভুট্টা, চাল, মসুর ডাল ও মটরশুটি খান।

ভুট্টা, ওটস, গম ও বাদামি চালের মতো শস্য রাখুন। এগুলোর ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখবে। সকালের খাবারে তাজা ও শুকনো ফল রাখুন। দিনে ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাবেন না। শুধু লবণ নয় সস ও মসলাও কম ব্যবহার করুন। সর্বদা কম সোডিয়ামযুক্ত খাবার খান। ঠিক লবণ ও চিনি মেশানো প্যাকেটজাত খাবার গ্রহণ কমিয়ে আনুন।

তেল ও চর্বি কম ব্যবহার করুন। মাখন ও ঘি’র পরিবর্তে অলিভ, সয়া, সূর্যমুখী বা কর্ন অয়েলের মতো স্বাস্থ্যকর চর্বি গ্রহণ করুন। একই সঙ্গে কম চর্বিযুক্ত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য ব্যবহার করুন। ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত রান্না ও ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। রান্না করার সময় খাবার ভাজার পরিবর্তে বাষ্পে বা সেদ্ধ করে রান্না করার চেষ্টা করুন।

চিনি খাওয়াও পরিহার করতে হবে। প্যাকেটজাত পানীয়, ফলের রস, স্বাদযুক্ত পানীয়, চিনিযুক্ত চা ও কফি গ্রহণ কমিয়ে আনুন। কুকি, কেক ও চকলেটের মতো মিষ্টি স্ন্যাকসের পরিবর্তে তাজা ফল বেছে নিন। শিশুদেরকেও মিষ্টিজাতীয় খাবার দেবেন না। পর্যাপ্ত পানি পান করার বিকল্প নেই। পানি পিপাসা না লাগলেও দৈনিক ২-৩ লিটার পানি অবশ্যই পান করুন। খুব বেশি মিষ্টি ফলের জুস খাবেন না।

ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ