লাইভ প্রতিবেদকঃ আজ ৭ই জুন বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস। এ বছরের মূল্য প্রতিপাদ্য হলো “নিরাপদ খাদ্য, প্রত্যেকের অংশগ্রহন”। অর্থাৎ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে খাদ্য শৃঙ্খল এর সাথে সংযুক্ত সকলের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহন খুবই জরুরী। খাদ্য শৃঙ্খল সংশ্লিষ্ট যে কেউ খাদ্যকে অনিরাপদ করতে পারে।
আজ বিশ্ব খাদ্য দিবসে খাদ্য দিবসে খাদ্য নিরাপদ রাখার চাবিকাঠিগুলো কী কী সেগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করবো। এবার তাহলে জেনে নেয়া যা যাক খাদ্য
নিরাপদ রাখার ৫টি চাবিকাঠি সম্পর্কে-
পরিষ্কার রাখুন:
* খাবার তৈরীর পূর্বে ও খাবার তৈরীর সময় সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধৌত করুন
* টয়লেট ব্যবহারের পর হাত ধৌত করুন
* খাবার তৈরীতে ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও রান্নাঘর নিয়মিত ধৌত করুন
* বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ ও পোকামাকড় থেকে রান্নাঘর সুরক্ষিত রাখুন।
কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখুন:
* কাঁচা মাংস ও মাছ অন্যান্য খাবার থেকে আলাদা রাখুন
* কাঁচা মাছ সবজি কাটার জন্য আলাদা ছুরি বা চাকু ব্যবহার করুন
* কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা পাত্রে সংরক্ষণ করুন
সঠিক তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট সময় ধরে খাবার রান্না করুন:
* বিশেষ করে মাছ, মাংস ও ডিম সম্পূর্ণরুপে সিদ্ধ করে রান্না করুন
* ৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় খাবার রান্না করুন
* বাসি খাবার পুনরায় খাওয়ার আগে ভাল করে তাপ দিয়ে নিন
নিরাপদ তাপমাত্রায় খাবার রাখুন ( ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এর নিচে এবং ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এর উপরে):
* রান্না খাবার কক্ষ তাপমাত্রায় ২ ঘন্টার বেশি রাখবেন না
* রেফ্রিজারেটরে খাবার সংরক্ষণের সময় ৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা নিচে সংরক্ষণ করুন।
* রান্না করা খাবার ৬০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার উপরে সংরক্ষণ করুন
* রেফ্রিজারেটরে বেশি সময় ধরে খাবার সংরক্ষণ করবেন না
নিরাপদ পানি ও নিরাপদ কাঁচামাল ব্যবহার করুন:
* নিরাপদ পানি ব্যবহার করুন
* রান্নায় নিরাপদ ও সতেজ খাবার ব্যবহার করুন
* কাঁচা ফলমূল ও সবজি খাওয়ার আগে অবশ্যই ধুয়ে নিন
* মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন
আসুন নিরাপদ খাবার খাই, সুস্থ্য থাকি। স্বাস্থ্যবান জাতি গড়তে সহায়তা করি।
লেখক:
মোঃ বিল্লাল হোসেন
শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
ঢাকা, ০৭ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: