খুবি লাইভ: দিন মজুরের ছেলে মেধাবী আলামিন এবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘এল’ ইউনিট থেকে মেধা তালিকায় আলামিনের স্থান ১১৫। তবে ভর্তি’র সুযোগ পেলেও আলামিন ভর্তি হওয়া নিয়ে পড়েছে চিন্তায়। কারণ ভর্তি’র জন্য প্রয়োজনীয় টাকা এই মুহুর্তে তার বাবা’র পক্ষে জোগার করা সম্ভব নয়।
জানাগেছে, শেরপুর জেলার শ্রীবরর্দী উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের গড়জরিপা চকপাড়া গ্রামের দিন মজুর হাছেন আলীর ছেলে মেধাবী আলামিন এ বছর শেরপুর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পায়। এর আগে সে গ্রামের ঘুনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেলেও কোন রকম টিউশান বা কোচিং এ পড়ার সুযোগ পায়নি।
তার বাবা হাছেন আলী তার স্ত্রীসহ ৪ সন্তানের ভরন পোষন এর পাশাপাশি লেখাপড়ার খরচ জোগাতে অনেক ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে। আলামিনের ছোট ভাই এবার এসএসসি পরীক্ষা দিবে। সেও জিপিএ-৫ পেতে পারেন বলে জানালেন আলামিন।
এমতাবস্থায় আলামিনের বাবার মাথায় এখন পাহাড় সমান বোঝা। এমনিতেই ঋনের বোঝা তার উপর আলামিনের বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভর্তি নিয়েও চিন্তায় পড়েছে আলামিনের বাবা হাছেন আলী।
আলামিনের বাবা হাছেন আলী জানান, অনেক কষ্টে ছেলেকে এ পর্যন্ত পড়াইতে পারছি। এখন এক্কেবারে ঠেইক্কা গ্যাছি। নিজের জমিজমা থাকলেও ছেলেকে পড়াইতে প্রয়োজনে জমি বেইচ্চা হালাইতাম। কিন্তু এহনতো হেইডাও করার পারুম না। এহন আমি আল্লার কাছে ভরসা কইরা আছি ছেলেডার যেন কোন গতি অয়।
আলমিন জানান, খুলনাতে এল ইউনিটে ভর্তির সুযোগ হলেও আমার রাজশাহী ও কুষ্টিয়াতেও ওয়েটিং এ আছি। এছাড়া আমি অর্থাভঅবে চিটাগাং ও সিলেটে যেতে পারছি না পরীক্ষা দিতে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি খুলনাতেই ভর্তি হবো। তবে এখন আমার বাবার পক্ষে ভার্তিসহ অন্যান্য খরচ প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা জোগার করা সম্ভব নয়।
তাই যদি কোন হৃদয়বান ব্যাক্তি আমার ভর্তির বিষয়ে সহযোগীতা করেন তবে আমার স্বপ পুরণে এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারতাম।
ঢাকা, ১০, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আইএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: