ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চতুর্থ বারের মত সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ভিসির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আশকারী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসময় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো: শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ, প্রেসক্লাবের সাভাপতি ইকবাল হোসেন রুদ্র, সহ-সভাপতি জুয়েল হোসেন তনু, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত তিমির, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা যোবায়ের আলম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফারুকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ।
ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনবার সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আবশেষে এক যুগের বেশি সময় ধরে সমাবর্তন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রণের দাবি পূরণ হতে চলেছে। তারি ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মো: আবদুল হামিদ আগামী ২০১৮ সালে জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে সদয় অনুমোদন এবং সমাবর্তনের সময় সূচী নির্ধারণের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
এদিকে সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ শুরু হয়েছে। সমাবর্তনের অতিথিসহ আগত সকলের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে গাছ লাগালো, স্থাপণা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নসহ নানা রকম কাজ চলছে। একই সাথে একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী জানায়।
জানা যায়, ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১৪ বছর পর ১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সমাবর্তনের সাত বছর পর ১৯৯৯ সালের ৫ ডিসেম্বর দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এর তিন বছর পর ২০০২ সালের ২৮ মার্চ তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে ১৯৯৭-১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্নাতক (সম্মান) এবং ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্নাতকোত্তর সর্বমোট ৩৮,৪৯০ জন ডিগ্রী প্রাপ্তদেরকে আনুষ্ঠানিকভকে ডিগ্রী প্রদান করা হবে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৮০ অনুচ্ছেদ ৮(১) অনুযায়ী ‘‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর থাকিবেন এবং উপস্থিত থাকিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানসমূহের একাডেমিক ও সম্মানসূচক ডিগ্রী প্রদানের জন্য সভাপতিত্ব করবেন।’’
এদিকে দীর্ঘ বিরতির পর আবার সমাবর্তনের সংবাদ শুনে খুশি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ দিন পর প্রাণের দাবি পূরন হওয়ার পথ সুগম করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা।
অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, ‘আমি অনেক আনন্দিত। সমাবর্তন শুধূ কল্পনার জগতে ছিল তা বস্তবে রুপ নিতে যাচ্ছে। প্রতিটি সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের দরবারে নতুন করে পরিচিত করে। সমাবর্তন মানেই অতীত ও বর্তমানের মিলনমেলা।’
ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: