কুষ্টিয়া লাইভ : কলেজছাত্র সাগর সাহাকে অপহরণের পর হত্যার প্রধান আসামি এক যুবক পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন হরিণারায়ণপুরে পুলিশের সঙ্গে সোমবার ভোর ৪টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিণারায়ণপুর বেড়ি বাঁধ এলাকায় ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত ওই যুবকের নাম এনামুল হক।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, তিনটি গুলির খোসা ও দুটি হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি রতন শেখ জানান, ১৯ আগস্ট শিবপুরের প্রদীপ কুমার সাহার কলেজ পড়ুয়া ছেলে কুষ্টিয়ার খাতের আলী কলেজের ইন্টারমিডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাগর সাহা অপি’র লাশ এনামুলের বাড়ির পাশের পরিত্যাক্ত টয়লেটের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার হয়। সাগর সাহা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ এনামুলকে গ্রেফতার করে।
সে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে তার সহকর্মী শিপনের নাম বলে। পুলিশ সোমবার ভোর ৪টায় এনামুলকে নিয়ে শিপনকে ধরতে শিবপুরে যায়। ওই গ্রামের বাবু সড়কে কেমু সর্দারের কলাবাগানে পৌঁছালে হঠাৎ সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় এনামুল পালিয়ে যায়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশী চালিয়ে গুলিবিদ্ধ এনামুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার এনামুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি ৭ দশমিক ৬৫ বোরের পিস্তল, কার্তুজ, ২ রাউন্ড গুলি, তিনটি গুলির খোসা ও দুটি হাসুয়া উদ্ধার করেছে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় এসআই রাশেদসহ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। নিহত এনামুল শিবপুরের গোলাম মস্তফার ছেলে। ১৬ আগস্ট তারিখে স্থানীয় হরিণারায়নপুর বাজার থেকে খাতের আলী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাগর সাহা অপহৃত হয়। পরদিন সাগর সাহার বাবা এ বিষয়ে ইবি থানায় জিডি করেন। ১৯ আগস্ট তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা, ২১ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: