বাগেরহাট লাইভ : কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দর গ্রামে বাড়ি আলিমুনের। ৯ বছর বয়সী এ শিশুর পড়াশোনা ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক মক্তবে। তিন বছর আগে দিনমুজুর বাবা আজাহার সেখ শিশু দুই পুত্র শুকুর আলী শেখ ও আলিমুন শেখকে রেখে মারা যান। অভাবের সংসারের ঘানি টানতে মা ছকিনা বেগম রাস্তায় দিন মুজুরের কাজ করছেন।
এরই মধ্যে আলিমুন বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসা করার মত টাকা পয়সা নেই পরিবারের। কচুয়া উপজেলার সোনাকান্দর গ্রামের দিন মুজুর চাচা মোজাহার সেখের তত্ববধানে কুড়ে ঘরে বেড়ে উঠছে আলিমুল।
জন্মগত রোগ না হলেও দ্রারিদ্রতার পাশাপাশি আসহাস শিশু আলিমুনের এতদিনেও কোন চিৎকিসার ব্যবস্থা হয়নি। গত কয়েক বছর ধরেই অজানা এই রোগ নিয়ে চলছে তার কষ্টের জীবন। এতো কষ্টের মধ্যেও সোনাকান্দর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম তার জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে। আলিমুলকে স্কুল ব্যাগ কিনে দেওয়াসহ দরিদ্র - অসহায় এই ছাত্রের সবসময়ই খোঁজ খবর রাখেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার এই পল্লী চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম আসহায় আলিমুনের বিরল রোগের চিকিৎসার আবেদন জানিয়ে দুটি ছবি পোস্ট করেন ফেসবুকে। পরে সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান সোহাগ বিষয়টিকে তুলে ধরে সমাজের কাছে মানবিক আহবানের পাশাপাশি যোগাযোগ শুরু করেন। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন তার আহবানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন। তিনি শিশু আলিমুনের চিকিৎসার ব্যপারে খোঁজখবর নিয়ে ঢাকায় এনে ওই অসহায় শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ার কথা কথা সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান সোহাগের কাছে প্রকাশ করেন।
ইতিমধ্যে বিরল রোগে আক্রান্ত আলিমুনের শিক্ষক পল্লী চিকিৎসক জাহিদুল ইসলামের মাধ্যমে তার মা ছকিনা বেগমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ঢাকা, ১৬ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: