যবিপ্রবি লাইভ: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলামকে নির্যাতনের বিচারের দাবি জানিয়েছে কর্মরত সাংবাদিকরা। আজ বুধবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও সাংবাদিকতার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবী জানান তারা।
মানববন্ধনে যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোসাব্বির হোসাইন বলেন, ইতিপূর্বে যবিপ্রবির সাংবাদিক সমিতির সদস্যদেরকে বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক শিহাব উদ্দিন সরকারকে ছাত্রলীগের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী হামলা চালায়। পরবর্তীতে চলতি বছরে সাংবাদিক দিশা প্রিয়া মিষ্টিকে ফেসবুক লাইভে এনে ছাত্রলীগ কর্মীরা হেনস্তা ও হুমকি-ধামকি প্রদান করে। চলতি বছরের ২০ মার্চ যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সজীবুর রহমানকে ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। সর্বশেষ গত ২২ যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি ও দ্যা বাংলাদেশ পোস্টের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জহুরুল ইসলামকে ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ আল মাহমুদ ও বেলাল হোসেনের দ্বারা শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থার শিকার হন। উক্ত সকল ঘটনার বিচার দাবি করছি। অবিলম্বে আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি তাদেরকে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইন বলেন, বিচার বহির্ভূত হওয়ার কারনে অনিয়ন্ত্রিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বারংবার সাংবাদিকদের উপর হামলা করছে। মুক্ত ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে এই বিতর্কিত ও বিচ্ছিন্নবাদী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরনের অরাজকতা এবং মুক্ত ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা বাঁধা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে একাধিক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে এবার তার পুনরাবৃত্তি হলে কঠোর থেকে কঠোরতার আন্দোলন করা হবে।
এরআগে, গত সোমবার (২২ মে ২০২৩) দুপুর আনুমানিক ২ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সহ-সভাপতি ও ডেইলি বাংলাদেশ পোস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জহুরুল ইসলাম ডিপার্টমেন্টের কাজ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবন থেকে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে যাওয়ার সময় হলের প্রধান ফটকে তাকে অবরুদ্ধ করেন শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। ঘটনার এক পর্যায়ে সাংবাদিক জহুরুলকে হলের গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানার অনুসারী শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ আল মাহমুদ ও ছাত্রলীগ কর্মী বেলাল হোসেন।
ঢাকা, ২৪ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএফ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: