Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ক্যাম্পাসে কুকুর হত্যা; বিশেষজ্ঞ, যবিপ্রবি'র শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবার ২০২২, ০৭:০৬

যবিপ্রবি'র শিক্ষক-শিক্ষার্থী

এ টি এম মাহফুজ, যবিপ্রবি: জলাতঙ্ক দিবসে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিষ প্রয়োগে ১৮ টি কুকুরকে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতাসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিটি জীবই কোনো না-কোনোভাবে পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই জীবজগতের ভারসাম্য বজায় রাখা ও পরিবেশের সুরক্ষার স্বার্থে সকল জীবকেই বাঁচতে দিতে হবে। মানুষ কেবল অন্যান্য প্রজাতির বিলুপ্তির কারণ হচ্ছে না; এসকল কর্মকাণ্ড যদি এই ধারাতেই চলতে থাকে, তাহলে আমরা প্রকৃতপক্ষে মানবজাতির বিলুপ্তির দিকেই এগিয়ে যাব।

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ হাসনাত ফাহিম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, সময়টা ২০১৮; জানুয়ারির শীতের সকালে কুয়াশা ভেদ করে প্রতিদিন ভার্সিটিতে আসতাম। দেখতাম একটি ছোট্ট সাধারণ লালচে-সাদা-কালো কুকুর ক্যাম্পাসের কদমতলায় ঘুমিয়ে থাকতো।তখনো ভাবিনি এই সাধারণ কুকুরটি একসময় সকলের কাছে হয়ে উঠবে অসাধারণ, হোক সে কুকুরপ্রেমী অথবা নাহ। নাম ছিলো ডেভিড, ডেভিডসহ ক্যাম্পাসের অন্য কুকুরের সাথে ছিলো আমার সখ্যতা। সে কারণে ক্লাসে অনেকে প্রায়ই আমাকে কুত্তাআলা/কুত্তালি বলে খেপায় যদিও বিষয়টি উল্টো আমার ভালই লাগে। ক্যাম্পাসের কোনো কুকুরই হিংস্র প্রবণ ছিলো না। কোনো কুকুর ডেঞ্জারাস হয়ে উঠলে তাকে অপসারণ করার ব্যাপারে আমিও সম্মতি দেই কিন্তু সরকারি আইন অমান্য করে এতো কুকুর হত্যা নিঃসন্দেহে একটি অপরাধ। বিচার চাওয়া বোকামি কিনা জানিনা তবে এটার জন্য শাস্তি হওয়া উচিৎ অপরাধীদের।

যবিপ্রবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আফিকুর রহমান অয়ন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, সকল ধর্মেই জীব হত্যা মহাপাপ। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন- "জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর"। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরম মমতায় কুকুর ছানাগুলো বেড়ে উঠেছিলো পরিণত বয়সে,ফলে শিক্ষার্থীদের তারা (কুকুরগুলো) প্রভুর চোখে দেখতো।ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুকুরগুলো'র সাথে বহু শিক্ষার্থী তাঁদের সুখময় স্মৃতি প্রকাশ করেছে।কুকুরগুলোকে যেভাবে আইন-নিয়ম-মমতার তোয়াক্কা না করে হত্যা করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। আমরা নিজেরাও তাদের খেতে দিতাম। আমাদের মিছিলেও তারা আসতো। আমরা কখনো শুনিনি যে তারা আক্রমণাত্মক আচরণ করেছে। বরং তারা শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় থাকতে পছন্দ করতো, বিভিন্ন নামে ডাকলেই ছুটে আসতো পরম মমতায়, আর মানুষদের হাতেই মরতে হলো এই প্রাণীগুলোকে। যারা সব থেকে কাছের-শান্ত-বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল সেই কুকুর গুলোকেই হত্যা করা হয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে শত শত সাধারণ শিক্ষার্থী এই ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ হলেও আশ্চর্য হবার কিছু নেই। বিভিন্ন সংবাদ দেখে এবং শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে যা বুঝলাম প্রশাসনের সবাই দায় এড়ানোর প্রতিযোগিতা এবং মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে যা আরও বেদনাদায়ক। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং জড়িতদের শাস্তি দাবী করছি।

ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম সাগর ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর আমাদের ক্যাম্পাসের কুকুরগুলোর উপর যে বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলানো হয়েছে এতে আমরা সকলে মর্মাহত। কুকুরের সংখ্যা যেন না বাড়ে সেই জন্য কুকুরগুলোকে ক্যাস্ট্রেটেড করতে পারতো। কুকুরকে তারা যদি এতই অপছন্দ করে অনেক আগে থেকে ক্যাস্ট্রেটেড করলে সংখ্যায় এতগুলো হতো না। আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসতো অনেক বড়।তাদেরকে একটু আদর করলে, একটু খাওয়ালে কি যে আনন্দ দেয়। মানুষ এত নির্মম হয় কিভাবে? মাননীয় উপাচার্য স্যার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। আপনার কাছে আমাদের একটাই দাবি যে বা যারা কাজটা করেছে তাদেরকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো: আরিফুজ্জামান ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, কুকুরগুলোকে হত্যার আগের রাতই যে ডেভিট ও জেম এর সাথে কাটানো আমার শেষরাত ছিলো তা বুঝতে পারিনি। সেদিন রাতেও ওদের সাথে কতই না পাগলামী করছি, বকা দিয়ে দুরে সরে যেতে বলছি ততো বারই ওরা দুইজন আমার শরীরের উপর ও পা দিয়ে কান্না-ভেজা হিমেল চোখে অভিমানে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে ছিলো আমার দিকে। হয়তো ওদের মন খারাপের কথা বলছিলো। হয়তো আমি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা কি আসলেই মানুষ নাকি পশু! প্রাণী হয়েও কোন প্রাণকে হত্যা করি। তাহলে তো আর আমরা প্রাণের মূল্য কি তা বুঝলাম না! জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের লীলা খেলায় মাতাল হয়েছি আমরা মানবজাতি, যেন কসাই।

জিইবিটি বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন শুচি ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ডেভিডের সাথে স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো কখনো ভুলবো না। বছরখানেক আগে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মাঠে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে বসে "ডেভিড" পরিবারের সাথে পরিচয় হয়, তখন ডেভিড অনেক ছোট ছিলো। সেই ছোট্ট ডেভিড একটু একটু করে আমার প্রিয় ডেভিডে পরিণত হতে লাগলো। যেদিন ডেভিডকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, তার আগের দিন ক্যাম্পাসের মেইন গেটে আমি, প্রমা, আলিফ ওকে খুব আদর করেছিলাম। ও অতি-আদরে লেজ নেড়ে নেড়ে আমাদের শেষবারের মতো অভিবাদন জানিয়েছিলো। আমরা এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, সাময়িক সময়ে আমরা দেখেছি আমাদের ক্যাম্পাসে কুকুরের সংখা বৃদ্ধি পেয়ে গেছিলো এবং তাদের সংখা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে কিছু স্টুডেন্ট একটু ভয় নিয়ে ক্যাম্পাসে চলাচল করতো। তবে কুকুরগুলো অনেক শিক্ষার্থীর কাছে প্রিয় ছিলো,কুকুরগুলো কখনো কাউকে কামড়ায়নি। কুকুরগুলোকে হত্যা করে ফেলা এটা সম্পুর্ন অনৈতিক কাজ। যদি এসব কুকুরগুলোকে সাময়িক অজ্ঞান করে একটা নিরাপদ স্থানে নিয়ে ছেড়ে দেয়া হতো তবে কুকুরগুলোর প্রাণও বেঁচে যেতো এবং ক্যাম্পাসের সবাই নিরাপদও থাকতো। শুধুমাত্র সকলের নিরাপত্তার জন্য যদি হত্যা করাই হয়। তবে তাদেরকে হত্যা করার আগে শিক্ষার্থীদের কাছে জিজ্ঞেস করা উচিৎ ছিলো যে কুকুরগুলো কোনো রকম আক্রমণ করে কিনা। এসব কিছু না ভেবেই হটাৎ করে এতগুলো প্রাণ কেড়ে নেয়া দন্ডনীয় অপরাধ বলে আমি মনে করি।

পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু বকর সিদ্দীক ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ৩১-১২-২০১৯ তারিখটা আজও মনে আছে আমরা এনএফটি বিভাগের কয়েকজন ভাই-ব্রাদার গভীর রাতে ক্যাম্পাসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এমন সময় কুকুর টা আমাদের পিছু নেয়,কোনোভাবেই আমরা এড়াতে পারছিলাম না।সেখান থেকেই কুকুরটির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, সারাদিন একসাথে ঘুরা একাডেমিক পর্যন্ত পৌছে দিয়া,গায়ে পড়া ভাব দেখানো।এভাবেই কুকুরটির সাথে আমার বন্ধু, বড় ছোট ভাইবোনদেরও ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শ্রদ্ধেয় শিক্ষক রাজিব কান্তি রয় স্যারের সাথেও কুকুরটির ভালো সখ্যতা ছিল। স্যার একদিন ডেকে বললেন কুকুরটির একটি নাম দাও, তখন ওর নাম দেওয়া হলো জেম।এর আগেও কুকুরটির একটি নাম ছিল। ওইসময় সেটা জানতাম না। নামটি দিয়েছিলেন ইইই বিভাগের শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মো: আমজেদ হোসেন ড. ইঞ্জিনিয়ার স্যার।স্যারও কুকুরটিকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন।

আসলে এই জেম ছিল মানুষপ্রিয়, জেমের সাথে কেমন জানি আত্মিক বন্ধন ছিল। ক্যাম্পাসের যেকোনো প্রান্ত থেকে জেম বলে ডাকার সাথে সাথেই সামনে এসে হাজির হয়ে যেত, আর গায়ে পড়তো। আমরা ক্যাম্পাসের যেইখানেই আড্ডা দেই জেম ছিল আমাদের একজন বিশ্বস্ত সাথী। সে থাকবে, সেইটা ক্যাম্পাসের ভিতরে বা বাইরে এমনকি হলের ছাদে বন্ধুরা আড্ডা দিলে।সেও আমাদের সাথেই আকাশের চাঁদ দেখতো। রাত হলেই হলের ১০৯ নাম্বার রুমের সামনেই ঘুমাই থাকতো। ক্যাম্পাসের প্রতিটি স্টুডেন্টের কাছে প্রিয় একটি কুকুর ছিল জেম, এমনকি যাদের কুকুর ফোবিয়া আছে তাদের কাছেও।আমি হল ছাড়ার সময় সবাইকে বলে ছিলাম জেমকে দেখে রাখতে। কোনোপ্রকার চিকিৎসা প্রয়োজন হলে সাথে সাথে যোগাযোগ করতে। তারপর এমন কোনোদিন নাই যে হলে গেছি অথচ জেমের সাথে দেখা না করে আসছি।হঠাৎ যখন ২৮-০৯-২০২২ বিকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকগুলা ফোন কল আর আমার বন্ধুর মেসেজ পাইলাম।কোনোকিছু না বুঝেই ক্যাম্পাসে চলে গেছিলাম। গিয়ে শুনলাম ঘটনা সত্য কে বা কারা যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ১৮ টি কুকুর নির্মম হত্যা করেছে,তার মধ্যে জেম বা স্যারের দেওয়া নাম ডেভিডও আছে।

যবিপ্রবি প্রশাসনের একাধিক কমিটির কাছে জানতে চাইলে সবাই বলেছেন তারা কেউই বিষয়টা নিয়ে অবগত নন। আমি হতবাক হয়েছি একটা প্রশাসন কিভাবে ক্যাম্পাসের ভিতর কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়া নৃশংসভাবে ১৮ টি কুকুর হত্যার দ্বায় এড়াতে পারে আর এমন তো না যে প্রানীগুলা মানুষের বসবাসের স্থান অযোগ্য করে তুলছিল বরং মানুষের সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচারণ করে আসছিল এবং সুন্দর পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রেখে আসছিল।একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসাবে যবিপ্রবি প্রশাসনের কাছে এই নিষ্ঠুর ও বেআইনি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।আর পরবর্তীতে যেন এমন নির্মম ঘটনার পুনরাবিত্তি না ঘটে।

ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: আমজাদ হোসাইন ড. ইঞ্জি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আঠারোটি কুকুরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।তাদের কি দোষ ছিলো? তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি ক্ষতি করেছিল? কোন ক্ষমতাবলে, আইনে কুকুরগুলোকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো? বিগত তিন বছর ধরে আমার প্রিয় কুকুর ডেভিডকে প্রতিদিন রাত্রে ক্যাম্পাসে থাকা অবস্থায় ডরমিটরির সামনে খেতে দিতাম, বিকালে বিভিন্ন সময় খেতে দিতাম। প্রতিদিন সন্ধ্যায় এবং সকালে ডেভিড আমার সাথে হাটতো। মাঝেমধ্যে ডেভিড আমার সঙ্গে ক্যাম্পাসে চলাফেরা করত অনেক সময় ডরমিটরি ভবনের সামনে দাঁড়ায়ে থাকতো, আমি কখন নামব। ডেভিড ডরমেটরিৱ আমার রুমে পর্যন্ত চলে যেত। আমি যখন সপ্তাহের শেষে বাসায় আসার জন্য বিকালে বের হতাম। কুকুরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ির পিছনে পিছনে আমবটতলা পর্যন্ত চলে আসতো।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ জুন মাসের ২৯ তারিখ আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে আসি। কুকুরটি আমার গাড়ির সাথে দৌড়াতে দৌড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় সেকেন্ড গেট পর্যন্ত চলে আসে। শেষে না পেরে নিজেই গাড়ি থেকে নেমে কুকুরটিকে আবার গেটের ভিতরে দিয়ে দিই। কোনোভাবেই আমাকে ছাড়তে চাইছিল না, আমাকে যেতে দিচ্ছিল না। আমি অনেককেই দেখা হলে বলেছিলাম আমার প্রিয় কুকুর ডেভিডকে দেখে রাখতে। একটা পর্যায়ে কুকুরটি মানুষের সাথে মিশতো, ছেলেদের হলেৱ সামনে যেত। শিক্ষার্থীদের সাথে হাটতো এবং তাদের সাথে বসে থাকতো। এমনকি ডেভিড কুকুরটি এতটাই মানুষের সাথে মিশতো যে। অনেক শিক্ষার্থীদের প্রিয় হয়ে গিয়েছিল।

একটা কুকুর যে মানুষের সাথে মিশতে পারে বা পরম মমতায় বেড়ে উঠতে পারে ২০১৫ সালে জাপানে যাওয়ার আগে আমার জানা ছিল না। জাপানে যাওয়ার পরে এটা আমি নিজে স্বচক্ষে দেখেছি এবং ২০২২ সালের জুলাই মাসে জার্মানিতে আসার পর দেখেছি।"হাওয়া" মুভিতে শালিক পাখি হত্যার(কাল্পনিক) দৃশ্যের জন্য পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে অথচ বিশ্ববিদ্যালয়/পৌরসভা থেকে কুকুর নিধনের অনুমতি দেয়া হয়! প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯ অনুযায়ী কুকুর নিধন-অপসারণ দণ্ডনীয় অপরাধ। যথাযথ উপায়ে রাস্তার কুকুরকে টিকা ও বন্ধাত্বকরণ নিশ্চিত করতে হবে। কুকুর নিধন কিংবা অপসারণের ঘটনা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। আমি তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। রেস্ট ইন পিস আমার প্রিয় কুকুর ডেভিড সহ অন্যান্য কুকুরগুলো।

এছাড়াও শতাধিক শিক্ষার্থী নিজ নিজ ফেসবুক আইডি থেকে এঘটনার প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রাণ ও প্রকৃতির প্রতি নৈতিক দায়িত্ববোধে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ও হত্যার শিকার ১৮ টি সঙ্গী প্রাণীর জন্য বিচারের দাবিতে পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার (PAW) ফাউন্ডেশন ৪ অক্টোবর বিকালে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে। অনতিবিলম্বে এই হত্যার সাথে জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা, ০৩ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ