Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ১৬ই এপ্রিল ২০২৪, ৩রা বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
তদন্ত কমিটি গঠন...

ইবি ভিসির পিএসের কক্ষ ভাঙচুর, পৌষ্য কোটার ১৫ কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বার ২০২২, ০৫:০৮

ভিসির পিএসের কক্ষে হামলা, ভাঙচুর

ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসির একান্ত সচিব আইয়ুব আলীর কক্ষে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। এতে টিটো মিজান, রাসেল জোয়ার্দ্দারসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে পেনাল কোড-১৮৬০ এর ১৪৩, ৪৪৭, ৩৪২, ১৮৬, ৪২৭ এবং ৫০৬ ধারায় ইবি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ০৬।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে ওসি আননূর জায়েদ বিপ্লব ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, মামলা দায়েরের পর বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন আহ্বায়ক ও ট্রোজারার দফতরের উপ-পরিচালক জাহিদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন- ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরীন, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামান ও সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম।

রেজিস্ট্রার দফতর জানিয়েছে, গত রবিবার ভূক্তভোগী ভিসির একান্ত সচিব আইয়ূব আলী (পিএস-১) ও মনিরুজ্জামান মোল্লার (পিএস-২) লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এ মামলা করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় অভিযোগকারীরা দাফতরিক কাজ করার সময় হামলার শিকার হন। অস্থায়ী চাকরিজীবি পরিষদের সভাপতি টিটো মিজান, সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন বহিরাগত এ হামলা করেন। একইসাথে আইয়ূবের কক্ষ ভাঙচুর, গুরুত্বপূর্ণ নথি তছনছ ও শারীরিকভাবে হেনস্তা করেন। দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তরা স্থায়ী চাকরির দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। তারই জের ধরে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা।
ভিসির একান্ত সচিব আইয়ুব আলীর কক্ষে হামলা ও ভাঙচুর

এসময় উপাচার্যের একান্ত সচিবের বিরুদ্ধে বিএনপি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করে তার পদত্যাগ দাবি করেন অভিযুক্তরা। এরপর বিষয়টি সমাধানের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো নিয়োগ বোর্ড হতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা। হামলাকারীরা নিজেদের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মী দাবি করেন। হামলার পরের দুইদিন ক্যাম্পাসে তাদের শোডাউন দিতে দেখা যায়। হামলাকারীদের দাবি, ভিসির একান্ত সচিব তাদের ফাইল আটকে রাখার কারণে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। তবে তারা হামলার বিষয়ে সর্ম্পূণ অস্বীকার করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ভাঙচুর হওয়া কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও এখন পর্যন্ত হামলার ফুটেজ পাওয়া যায়নি। কক্ষটিতে সিসিটিভি ক্যামেরা চালু থাকলেও হার্ডডিস্ক নষ্ট ছিল। এছাড়া উপাচার্যের কক্ষেও সিসিটিভি ক্যামেরা চালু থাকলেও গত ৬ এপ্রিলের পর থেকে কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড. শাহেদ আহমেদ ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘যে কক্ষে হামলা হয়েছে সেখানকার সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক থাকলেও হার্ডডিস্ক ইরোর (যান্ত্রিক ত্রুটি) দেখাচ্ছে। ভিসি স্যারের রুমেও গত ৫/৬ এপ্রিলের পর কোনো ফুটেজ নেই। কেউ ইচ্ছা করে ক্যামেরা বন্ধ রাখতে পারে। মূলত আইসিটি সেলই ক্যামেরার দেখভাল করে।’

আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর আহসান উল আম্বিয়া ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ‘আইসিটি সেলের আশেপাশের কিছু ক্যামেরা ব্যতীত বাকিগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ক্যামেরাগুলো স্ব-স্ব অফিস নিয়ন্ত্রণ করে। সিসিটিভি ক্যামেরা অচলের ব্যাপারে আমাদের দায় নেই। সমস্যা হলে আমাদের জানালে আমরা ঠিক করে দিয়ে আসি।’

ঢাকা, ২০ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এএইচ//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ