কুয়েট লাইভ: মোবাইল অ্যাপে সরকারবিরোধী মন্তব্য। এমন অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিএসই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে ছাত্রলীগ। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম জাহিদুর রহমান (২২)। তাকে মারধরের পর তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি রয়েছেন। তার আগে তাকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তিন ঘণ্টা ধরে মারধর করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) কুয়েটের সিকিউরিটি অফিসার মো. সাদেক হোসেন প্রামানিক (৩৫) খানজাহান আলী থানায় একটি মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন ওসি মো. কামাল হোসেন খান।
জাহিদের স্বজনরা বলেন, গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় ড. এম এ রশিদ হলের গেস্ট রুমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ডেকে নিয়ে যায়। একটি ছাত্র সংগঠনের ট্যাগ লাগিয়ে জাহিদকে ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত নির্মমভাবে পেটানো হয়, যার কারণে তিনি মারাত্মক জখমের শিকার হন। পরে ওই রাতেই পুলিশ তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় পুলিশ ক্যাম্পাসে ও হাসপাতালে উপস্থিত ছিল।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের ফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ড. এমএ রশিদ হলের প্রভোস্ট এমডি হামিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কিছু শিক্ষার্থী বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করে জাহিদুর রহমান বিভিন্ন দেশবিরোধী গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছে সে। এটা আমাদের নজরে আসায় ছাত্ররা তাকে প্রথমে একটু জিজ্ঞাসাবাদের পর আমরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করি। সে আমাদের কাছে বলেছে সে খেলাফতে বিশ্বাস করে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।
জাহিদুলকে কারা মারধর করেছে জখম করেছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা আমার মন্তব্য করা একটু কঠিন হবে। আমরা যাওয়ার পর কেউ আঘাত করেনি। হতে পারে ছাত্ররা তাকে চড়-থাপ্পড় মেরেছে।
ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: