ইবি লাইভ: বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহনের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেছে খেলোয়াড়রা। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসগুলো আটকা পড়ে। এতে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাসে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
জানা যায়, এই টুর্ণামেন্টে ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেটবল সহ ১১ টি ইভেন্টে খেলার সক্ষমতা থাকলেও বাজেট ও আবাসন সংকট দেখিয়ে মাত্র ৪ টি খেলায় অংশগ্রহণের জন্য দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা প্রত্যেকটি খেলায় অংশগ্রহণ সহ ৯ দফা দাবিতে সোমবার তারা শারিরীক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. সোহেলের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে কোনো আশ্বাস না পেয়ে তারা ত্রীড়া বিভাগে ড. সোহেলকে অবরুদ্ধ করে তালা দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। পরে, ভিসি আলোচনার আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।
এদিকে মঙ্গলবার আশানুরুপ কোন সিদ্ধান্তের ঘোষণা না পাওয়ায় আবারো প্রধান ফটক অবরোধ করে খেলোয়াড়রা। পরে দুই ঘন্ট অবরোধ শেষে ১১টি ইভেন্টে মোট ১২ টি দল অংশগ্রহণের আশ্বাস পেয়ে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন। এসময় ভোগান্তিতে পড়েন অবরোধে আটকে থাকা বাসে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক শিক্ষার্থী।
বাসে আটকে থাকা চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাজা মন্ডল ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘আমরা দুপুরে না খেয়ে এখানে আটকে আছি। খেলোয়াড়রা তাদের দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলাদাভাবে বসতে পারতো। এতে আমার মতো হাজারো শিক্ষার্থীকে ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।’ অপর শিক্ষার্থী সুমন বলেন, ‘প্রধান ফটক আটকানোর পরপরই প্রশাসন চাইলে দ্রæত সময়ের মধ্যে এর সমাধান করতে পারতো। প্রশাসনের অদূরদর্শীর কারণেই প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।’
এ বিষয়ে আইন বিভাগের প্রফেসর ড. জহুরুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ‘আমাদের মধ্যে অনেক বৃদ্ধ শিক্ষক রয়েছেন। খেলোয়ারদের আলাদাভাবে প্রশাসনের সাথে বসে বিষয়টির সমাধান করা উচিত ছিল। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে রেখে দাবি আদায় করা, এটা কোনো আন্দোলনের সিস্টেম হতে পারেনা।’
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. সোহেল ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘আমরা মোটামুটি সব ইভেন্টে অংশ নেওয়ার কথা তাদেরকে বলেছিলাম। আর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য ১ ঘন্টা দেরি করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমার কথা না শুনে আন্দোলনে চলে গেছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ‘আমরা প্রত্যেকটি ইভেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য গতকালই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এছাড়া তাদের আবাসনের জন্যও আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু আজকে তারা আবারো কি কারণে অন্দোলনে নামলো তা আমার বোধগম্য নয়।’
ঢাকা, ০৬ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এএইচ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: