যবিপ্রবি লাইভ: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি)বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের লিফট বিড়ম্বনার শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বারবার আশ্বাসের পরেও সমস্যার সমাধান শূণ্য। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইউজিসি বরাবর লিফট অপারেটর নিয়োগ ও রক্ষণাবেক্ষণ সমস্যার সমাধান চেয়েও মেলেনি স্থায়ী সমাধান।
মাঝে মধ্যেই সারাদিন বন্ধ থাকে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত একটি লিফট।ফলে ভোগান্তি'তে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত দুইটি লিফটের একটি দিনব্যাপী বন্ধ রয়েছে, বাকি আরেকটা লিফট ৫ম তলায় না থেমেই চলাচল করছে। ফলে দিনব্যাপী ভোগান্তির শিকার হতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মাঝে, এমন ভোগান্তি থেকে মুক্তি চান তাঁরা।
বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী নাঈমুর জানান, এত গরমে সিঁড়ি ভেঙ্গে ৫-৭ তলায় উঠা সব শিক্ষার্থীর জন্যই কষ্টকর,এজন্য বাধ্য হয়েই অনেকেই লিফটে উঠার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে।আসলে এত বেশি শিক্ষার্থীর তুলনায় ২ টি লিফট খুবই সামান্য। কিন্তু এর মধ্যে ১ টি লিফট প্রায়ই অচল হয়ে পড়ে থাকে, এতে আমাদের ভোগান্তিটা বাড়ে।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটা হয়তো অনুভব করেন না,কারণ শিক্ষকদের লিফট তো কখনো বন্ধ হতে দেখিনা।
এগ্রো প্রডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি বিভাগের ছাত্র রকিবুল হাসান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমরা প্রায়শই এরকম লিফট সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।লিফট সমস্যার সমাধান না হলে আমাদের ক্লাস পরিক্ষা বর্জন করা ছাড়া উপায় দেখতেছি না।
প্রকৌশল দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, একাডেমিক ভবনের জন্য মাত্র ৩ টি লিফট হওয়ায় উপর মহলের নির্দেশনায় ২ টি লিফট কিছু কিছু ফ্লোরে আমরা বন্ধ করে রেখেছি। যার ১ টি কিছুদিন যাবত পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করবো। তবে কবে নাগাদ সমাধান হবে তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি।
এই বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. আনিসুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমি জানতাম না একটি লিফট বন্ধ রয়েছে। আমরা খুবই দুঃখিত। খুব দ্রুতই এই লিফট সমস্যার সমাধান করবো সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
এ প্রসঙ্গে যবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আনোয়ার হোসেন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, একাডেমিক ভবন, টিএসসি, নতুন হল ও বর্তমানে যেসব ভবনে লিফট সমস্যা হচ্ছে সেগুলো সমাধানের জন্য ইউজিসি ও এডুকেশন মিনিস্টারি'কে অনেক আগেই জানিয়েছি, কিন্তু তাঁদের থেকে পর্যাপ্ত সাড়া মেলেনি।
তাঁরা আমাদের সাথে পিংপং খেলছে, সবাই দেখেছে এত অল্প সময়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, কি করতে পারে! যদি তাঁদের থেকে পর্যাপ্ত সাড়া না পাওয়া যায় তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির যে অগ্রগতি তা মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে সরি বলা ছাড়া আমার কিছু করার থাকবে না। কারণ আমার পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব ইতিমধ্যে আমি তা করেছি এবং করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
ঢাকা, ৩১ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: