Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নেই কোনো স্পীডব্রেকার...

মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার ইবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত: ২৯ আগষ্ট ২০২২, ২২:৫৫

মহাসড়কে উচ্চগতিতে যানবাহন যাতায়াত

সামী আল সাদ আওন, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে নেই কোন স্পীডব্রেকার। মহাসড়কে উচ্চগতিতে বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার সহ নানা ভারী যানবাহন যাতায়াত করতে দেখা যায়। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের।

কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ব্যাস্ত সড়ক। এ মহাসড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। মহাসড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্পীডব্রেকার থাকলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোনো স্পীডব্রেকার নেই।

মহাসড়কের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাইনবোর্ডে গতিসীমা ২০ কিলোমিটার লেখা থাকলেও ক্যাম্পাসের সামনে রাস্তার উপর বড় করে ৪০ কিলোমিটার গতিসীমার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এরপরও ক্যাম্পাসের সামনে দিয়ে ৪০-৬০ কিলোমিটার কিংবা আরও উচ্চগতিতে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলতে দেখা যায়। এতে যেকোনো সময় বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামানো ও যানবাহনের চলাচলে কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকায় রাস্তা পারাপারে ঝুঁকি নিতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পথচারীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দু'পাশে বাস স্টপেজ থাকলেও বাসগুলো তাদের ইচ্ছেমত স্থানে যাত্রী তোলে আর নামায়। এছাড়াও বাসে সম্পূর্ণ না দাঁড়িয়ে এর গতি কমিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিতেও দেখা যায়। এতে দূর্ঘটনার শিকার হতে পারেন শিক্ষার্থী ও অন্যান্য যাত্রীরা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের নানা দরকারে মহাসড়ক পারাপার করা লাগে। কিন্তু সড়কে উচ্চগতিতে গাড়ি চলা ও স্পীডব্রেকার না থাকায় রাস্তা ভয় নিয়ে পারাপার করতে হয়। রাস্তায় দু'পাশে স্পীডব্রেকার বা ফুটওভার ব্রিজ থাকলে রাস্তা পারাপারে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি কমে আসবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মহাসড়কে কোনো স্পিড ব্রেকার না থাকায় রাস্তা পারাপারে আমাদের ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়। এই সড়কটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সাথে হওয়ায় এ মহাসড়কে সবসময় শিক্ষার্থীদের ভিড় থাকে। আর এই সড়ক দিয়ে অনেক ভারী মাল বোঝাই করা ট্রাক ও বাস যাতায়াত করে অনেক দ্রুত গতিতে। তাই স্পিড ব্রেকার না থাকার ফলে যেকোনো মুহূর্তে শিক্ষার্থীরা বিপদের মুখে পড়তে পারে আর ঘটে যেতে পারে কোনো ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের কাছে স্পীডব্রেকার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মামুন ইসলাম ক্যম্পাসলাইভকে জানান, আমার মেস বিপরীত পাশে হওয়ায় ক্যাম্পাসে যাওয়া-আসা করে এই রাস্তা পার হওয়া লাগে। স্পীডব্রেকার থাকলে আমাদের রাস্তা পারাপারের সময় ঝুঁকি কমবে। বড় কোন দূর্ঘটনা ঘটার আগে প্রশাসনের এই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

সমাজ কল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা কেয়া ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, মেইনগেইটের সামনের মহাসড়কে প্রতিদিন হাজারো স্টুডেন্টদের রাস্তা পারাপার করতে হয়। স্পিডব্রেকার না থাকার কারণে বাস এবং ট্রাক বেপরোয়া গতিতে যাতায়াত করছে। স্পিডব্রেকার আগে থাকলেও এখন সেটা না থাকায় ভুক্তভোগী হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কোন দূর্ঘটনা ঘটার পূর্বে স্পিডব্রেকার স্থাপন সময়ের দাবি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.জাহাঙ্গীর হোসেন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমরা চিফ ইঞ্জিনিয়ার অফিসে বিষয়টি জানিয়েছি। আশা করি খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.মাহবুবুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, স্পীডব্রেকার আমাদের মেইন গেইটে দু'দিকে থাকা আবশ্যিক। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারে তাদের নিরাপত্তা দরকার। আমার মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যে গাড়িগুলো যাবে তারা যেন গতিসীমা লঙ্ঘন না করে। আমি চাই যে হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ দৃষ্টি দেবেন।

এছাড়া ফুটওভার ব্রিজের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ফুটওভার ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে স্থাপন করতে হবে। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে ফুটওভারের আবেদন পেলে আমরা রোড হাইওয়ে বিভাগকে আমরা জানাবো।

ঢাকা, ২৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ