ইবি লাইভ: প্রতিমা স্থাপন, পূজা অর্চনা ও পূষ্পাঞ্জলি, শোভাযাত্রা সহ নানা আয়োজনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জন্মষ্টমী উৎসব পালন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনালয়ে প্রতিমা স্থাপন, পূজা অর্চনা ও পূষ্পাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি’র সামনে থেকে শুরু হয়ে প্রধান ফটক হয়ে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের আলোচনা সভায় এসে শেষ হয়।
ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্রবর্মনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান ও ঝিনাইদহ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়।
শুভ্র সরকার রুদ্র ও রিয়া বসাকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন নাটোর ইসকনের অধ্যক্ষ শ্রীনামপ্রেম দাস ব্রহ্মচারী। বিশেষ আলোচক ছিলেন হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের প্রফেসর ড. অরবিন্দ সাহা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলাম ও আমজাদ হোসেন সহ সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, সহ-সভাপতি তন্ময় সাহা টনি ও মুন্সী কামরুল হাসান অনিক সহ ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হারাধন মোদক ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। অনুষ্ঠানে হিন্দুধর্মাবলম্বী নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্থায়ী মন্দিরের দাবি জানান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আজকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে, আমরা সমাজে অস্থীরতা তৈরি করবো নাকি মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেবো। এটাই হচ্ছে মানবধর্মের সবচেয়ে বড় ইণ্ডিকেটর। পাকিস্তান আমলে যারা জীবনেও ধর্মাচার করেনি তারাই হলো বড় মুসলমান। কিন্তু এ বঙ্গে হাজার হাজার বছর ধরে যারা আছে তারা হলো সংখ্যালঘু। মুসলিম, হিন্দু, খৃষ্টান ও বৌদ্ধ সবাই দেশের সৌন্দর্য্য। এখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ, বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ সকলে এক প্লাটফর্মে আছি, আর এটাই বাংলাদেশ।
আলোচনা সভা শেষে দুপুর ২ টায় প্রসাদ বিতরণ এবং দুপুর আড়াই টায় ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
ঢাকা, ১৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওপিটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: