ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে হলের সীট দখলকে কেন্দ্র করে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সৈয়দ ফাহিম আবরার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ২১১ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম তরুণ বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর। বৃহস্পতিবার (৪ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ২১১ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী অভিযোগ , ‘তারা জিয়া হলের ২১১ নং কক্ষে তিনজন বৈধ সিটে থাকেন। এর আগে তার রুমমেট তরিকুল ইসলামকে (আল ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) নিয়ে ঝামেলা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে গেলে তাদের বৈধ সিট থাকায় সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এই রুম নিয়ে ওরা আর কোনো ঝামেলা করবে না, তখন তারা নাসিম আহমেদ জয়ের (নববির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ইবি শাখা ছাত্রলীগ) নেতৃত্বে ঝামেলা করেছিল বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। অভিযুক্তরা হলেন, বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের তরিকুল ইসলাম তরুণ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শাহিন ও হাফিজ।
তিনি আরো জানান, অভিযুক্তরা তাদের বিভিন্ন সময় রুম ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি-ধমকি দেয়। এর আগে, তরুণ তাকে বিএনসিসি ড্রেস পরা অবস্থায় হামলা করেছিল।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে অভিযুক্তরা তাদের রুমে এসে রুম থেকে চলে যেতে বলে। অভিযুক্তরা বলে জয় ভাই (নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক) চলে যেতে বলেছে। ভুক্তভোগী জয় ভাইকে ফোন দিতে চাইলে তারা ফোন কেড়ে নিয়ে আছাড় দেয়। তারপর অভিযুক্তরা একটা রড দিয়ে তার উপর হামলা করতে আসলে সে রডটি দুই হাত দিয় চেপে ধরে। তখন তারা তাকে নিচে ফেলে দিয়ে সবাই মিলে হামলা করে, এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে তার হাত, পা, বুকসহ দেহের বিভিন্ন জায়গা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা ঐ কক্ষে তালা লাগিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম তরুণ বলেন, ’আবরার ছাত্রলীগের পদপ্রাপ্ত নতুন সদস্যদের নিয়ে জিয়া মোড়ে বাজে মন্তব্য করে বেড়ায়। আমরা ৪-৫ জন তার কাছে এ কথা জিঙ্গেস করতে ওই রুমে গিয়েছিলাম। কথা বলার মাঝে পিছনে ঘুরে দেখি ওই ছেলে একটা রড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তখন একপর্যায়ে প্রতিহত করতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি পর্যায়ে চলে গেছে।’
এ বিষয়ে নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি বিস্তারিত শুনেছি। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দ্রুতই এটা সমাধান করে ভুক্তভোগীদের নিজস্ব কক্ষে উঠার ব্যবস্থা করছি।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড.জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কালকে রাতে ওই ছেলে আমাকে জানালো। পরে আমাদের প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের সাথে কথা হয়েছে। আজকে আমি ক্যাম্পাসে আসবো বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানি। যার বৈধ সিট আছে সেই হলে থাকবে। অবৈধভাবে হলে থাকার কোনো সুযোগ নেই।’
ঢাকা, ০৫ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: