ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক ভবন যমুনার নিচতলায় শিক্ষকের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটেছে। আনুমানিক রবিবার (৩ জুলাই) গ্রীল কেটে এ ঘটনা ঘটায় দুর্বৃত্তরা। চুরির ২ দিন পর মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি ইনচার্জ আবদুস সালাম (সেলিম)।
যমুনা ভবনে থাকতেন ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এইচ.এ.এন.এম এরশাদ উল্লাহ। চুরির ঘটনায় তিনি বলেন, ‘বাসার বাথরুমের বেশকিছু ফিটিংস খুলে নিয়ে গেছে চোরেরা। আলমারির তালা ভেঙে প্রায় ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ২০-২৫ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। অনেক আসবাবপত্র নষ্ট করেছে। আর কী কী ক্ষতি বা চুরি হয়েছে দেখতে হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের পর আবাসিক এলাকার বাসায় (যমুনা ভবন) তালা দিয়ে সপরিবারে চলে যান। এরপর আনুমানিক রবিবার (৩ জুলাই) ভবনের পিছনের বেলকনি দিয়ে গ্রিল কেটে ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোর ভিতরে ঢুকে। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় চুরির বিষয় জানতে পেরে ওই শিক্ষকের স্ত্রী বুধবারে খুলনা থেকে ক্যাম্পাসে আসেন। তিনি আনুমানিক ২০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণ ও কয়েকটি স্টিলের ট্যাপ চুরির বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তবে এত পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছে ওই শিক্ষক।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে আতংকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে চুরির ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। উপযুক্ত শাস্তির অভাবে বারবার একই ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এসব ঘটনা ঘটলেও অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
একই ভবনের ২য় তলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি ইনচার্জ আবদুস সালাম (সেলিম) ও ৪র্থ তলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম থাকেন। তারা সেখানে অবস্থান করা সত্ত্বেও কবে নাগাদ চুরি হয়েছে, কারা চুরি করেছে এ বিষয়ে তারা অবগত ছিলেন না।
এর আগে, গত ২ জুলাই ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে শান্তিডাঙ্গা ও শেখপাড়া এলাকায় মাইকিং করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘ক্যাম্পাসে মাইকিং করে বহিরাগত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা কিছু শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের পাশেই মেসে অবস্থান করছি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারছিনা। মাঠে খেলতে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয় না। যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রবেশে এত নিয়ম সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে চুরির মত ঘটনা কিভাবে ঘটে?’
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম (দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রক্টর) বলেন, ‘চুরির বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ভাঙা স্থানগুলো মেরামতের জন্য বলা হয়েছে। এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত রয়েছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এরশাদ স্যার ঢাকায় আছেন। তিনি ফিরে এলে বাকি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ঢাকা, ০৬ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: