Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
অভিযুক্তরা বললেন না 

যবিপ্রবির প্রকৌশলীকে মারধর ও হত্যার হুমকি!

প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২২, ১৩:৩৪

অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কৃত আজিজুল ইসলাম

যবিপ্রবি  লাইভ: টেন্ডার সিকিউরিটির টাকা ফেরত না পাওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিজানুর রহমানকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শারিরীক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী (আজীবন বহিষ্কৃত) আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নীচতলায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


ঘটনার বিচার দাবি করে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেন। চিঠিতে ভুক্তভুগী কর্মকর্তা জানান, ২৫ জুন ২০২২ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি’র প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম প্রশিক্ষণস্থলে এসে অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ ডাকছেন বলে জানান। শিক্ষক ড. জাহিদের ডাকার পর বের হয়ে দরজায় আসলে তিনি আমাকে একাডেমিক ভবনের সিড়ির নীচে ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেন এবং বলেন, ‘সিকিউরিটির টাকা দিবি নাকি জীবন দিবি সিদ্ধান্ত তোর’।

                                      অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ


এ বিষয়ে প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, রাজশাহীর একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে ৬০ কেভি ডিজেল চালিত জেনারেটর সরবরাহ করে। ওই প্রতিষ্ঠানের ১৮ লাখ টাকার (বিল) প্রকল্পের বিপরীতে সিকিউরিট বাবদ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা জামানত রাখা হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ওই সিকিউরিটির টাকা বহিস্কৃত ছাত্র আজিজকে দিতে চাপ দিচ্ছিলেন ড. ইকবাল কবীর জাহিদ। এ নিয়ে ড. জাহিদ একাধিকবার তাকে সুপারিশ করেন। উপাচার্যের দপ্তরে ডেকে নিয়ে হুমকি ধামকিও দিয়েছেন। কিন্তু বিলের কাগজপত্র ঠিকমত না থাকায় তিনি টাকা দিতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, আমার নামে কেনো এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা আাম জানিনা। হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার যে সুনাম রয়েছে তা নষ্ট করার জন্য একটি পক্ষ এমন অভিযোগ তুলছে।

উক্ত ঘটনার পর অভিযুক্ত বহিষ্কৃত ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলামকে নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর। রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজিজুল ইসলাম (সেশন ২০১১-১২) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ক্যাম্পাসে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

মারধরের ঘটনাটি অস্বীকার করে আজিজুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ২০১৯ সালে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে ৬০ কেভি ডিজেলচালিত জেনারেটর সরবরাহ করি। জেনারেটরের মেয়াদকাল ও সার্ভিস সময় সবকিছুই ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আমি জামানতের টাকার জন্য আবেদন করলে প্রকৌশলী মিজান টাকা দিতে নানা প্রকার তালবাহানা করে। এ বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথা বলতে গেলে কথা কাটাকাটি হয়, তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটে নি।

ঢাকা, ২৫ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ