ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অধীন ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ফাজিল (স্নাতক) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন মাহবুবুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামের কাগতিয়া এশাতুল কামিল মাদ্রাসা থেকে অংশ নিয়েছিলেন পরীক্ষায়। শিক্ষাজীবন শেষ করে পরিবারের হাল ধরার কথা থাকলেও এখনো ফাজিল সম্পন্ন করতে পারেননি।
একই দশা ২০১৩-১৪ শিক্ষবর্ষের শিক্ষার্থীদেরও। ফলে কোনো চাকরিতেই আবেদন করতে পারছেন না। মাহবুবের মত হাজারো পরীক্ষার্থী চেয়ে আছেন ফলের আশায়। ফলাফল প্রকাশ না হওয়ার পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাফিলতিকে দায়ী করছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইবির অধীনে মাদ্রাসাগুলোতে ফাজিল (স্নাতক) চালু করা হয়। ইবির অধীন সর্বশেষ ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেন। ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ফাজিল (স্মাতক) পরীক্ষা শেষ হয়। তবে আট মাস পেরিয়ে গেলেও এই দুই বর্ষের ফল প্রকাশ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
ফলে তাদের সেশনজন আরো তীব্র আবার ধারণ করেছে। চাকরির আবেদন সহ বিভিন্ন ধরণের জটিলতায় পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে ঢাকার আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক শ্রেণির কোর্সসমূহের পরীক্ষা ও ফলপ্রকাশ যথাসময়ে হচ্ছে বলে জানা গেছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) এ কে আজাদ লাভলু ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, খাতা দেখার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। দুয়েকদিনের মধ্যে ফল প্রস্তুতের কার্যক্রম শুরু হবে। চলতি মাসেই আমরা ফল প্রকাশ করতে পারবো বলে আশা করছি।
ঢাকা, ১৯ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: