ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এক শিক্ষার্থীর সিটে উঠাকে কেন্দ্র করে দুই ছাত্রলীগ নেতার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ জুন) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে হলের আন্তর্জাতিক ব্লকের ৪০৯ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন, সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-সম্পাদক জোবায়ের হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালনের অনুসারী। অন্যজন হলেন, মুন্সী কামরুল হাসান অনিক। তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের অনুসারী।
সূত্র জানায়, জোবাযের ও গণিত বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের জুলকার নাঈম আন্তর্জাতিক ব্লকের ৪০৯ নম্বর কক্ষে থাকতেন। নাঈমের মাস্টার্সের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় তারই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষবর্ষের রাফিজুল ইসলামের কাছে কক্ষের চাবি দিয়ে তাকে সেখানে থাকতে বলেন। পরে গত বৃহস্পতিবার রাফিজ কক্ষ দেখতে গেলে জোবায়ের কক্ষে উঠতে বাঁধা দেন।
পরে রাফিজ তার সিনিয়র নাঈমকে বিষয়টি জানালে তাকে ফের সিটে উঠতে বলেন। ফলে শনিবার (১৮ জুন) রাফিজ জিনিসপত্র নিয়ে হলে আসেন রাফিজ। তবে ফের জোবায়ের তাকে বাঁধা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন। রাফিজ চলে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে অনিক ও ছাত্রলীগ নেতা বিপুল হোসেন খাঁনের সাথে দেখা হয়। পরে অনিক কক্ষে প্রবেশ করলে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর বিপুল কক্ষের মধ্যে প্রবেশ করেন।
রাফিজুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, অনিক ভাই আমাকে আগেও সিট দেওয়ার কথা বলেছিল। ভাইকে ৪০৯ নং রুমের বিষয়টি জানালে তিনি আমাকে সেখানে থাকতে বলেন। এজন্যই আজকে আমি জিনিসপত্র নিয়ে আসছি। রুমে ঢুকতে গেলে জোবায়ের ভাই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বের করে দেন। পরে অনিক ভাই ও বিপুল ভাইকে বিষয়টি জানালে তারা রুমের ভিতরে যান। আমি সিঁড়ির ওখানে ছিলাম। এসময় ভাইদের সাথে মনে হয় ঝামেলা হয়েছিল।
এদিকে ঘটনার প্রায় দেড় ঘন্টা পর ফেইসবুক লাইভে এসে অনিকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেছেন যোবায়ের। এছাড়াও তিনি অনিকের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, আমি বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালনের রাজনীতি করায় অনিক আমাকে মারপিট করেছে ও মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। এমতবস্থায় আমি আমার জীবন নিয়ে শঙ্কিত। আমি সকলের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে অনিক বলেন, ওই সিটে রাফিজ উঠতে গেলে জোবায়ের তাকে গালিগালাজ করে ও সিটে উঠতে বাঁধা দেয়। বিষয়টি শোনার পর সমাধান করতে গেলে সে আমাকেও গালিগালাজ করে। এসময় তার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে সে অন্যের প্ররোচনায় আমার ব্যাপারে বিভিন্ন ধরণের মনগড়া ও বানোয়াট অভিযোগ করছে।
হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মাহবুবুল আরেফিন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, তারা তো দুইজনই অছাত্র। ক্যাম্পাসের ভিতরে এমন ঘটনা দুঃখজনক। বিষয়টি বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট সমাধানের চেষ্টা করছেন।
আরো বেশী জানতে চাইলে কমেন্টে ক্লিক করুন ...
ঢাকা, ১৮ জুন (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওপিটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: