Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

চাকরি প্রার্থীর কাছে অর্থ দাবি, যবিপ্রবির উপপরিচালক বরখাস্ত

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২২, ০৫:২১

উপ-পরিচালক মো. হায়াতুজ্জামান ও অফিস আদেশ

যবিপ্রবি লাইভ: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার দপ্তরের জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক মো. হায়াতুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। চাকরি প্রার্থীর কাছে মুঠোফোনে অর্থ দাবির অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

যবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর ড. মো: আনোয়ার হোসেনের অনুমতিক্রমে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীবের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অফিস আদেশে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক মো. হায়াতুজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে বিধায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাধারণ আচরণ, শৃঙ্খলা ও আপিল সংক্রান্তবিধি মোতাবেক তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চাকরি পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার নিয়ম হলো পরীক্ষার্থীরা যদি লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয় তাহলে তাদেরকে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষার সময় চাকরি প্রার্থীদের মুঠোফোন বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ একজন চাকরি প্রার্থীকে মুঠোফোনে কথা বলতে দেখেন পরীক্ষা পরিদর্শক।

পরিদর্শক ফোনটি নিয়ে নাম্বার চেক করে দেখেন ওই প্রার্থীর ফোনের অপর প্রান্তে রয়েছেন যবিপ্রবির জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক হায়াতুজ্জামান মুকুল। পরীক্ষা পরিদর্শকগণ প্রার্থীর মুঠোফোনের কল রেকর্ডটি উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিক ওই প্রার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়। মুঠোফোনের রেকডিংয়ে ও পরবর্তীতে ওই প্রার্থীর জিজ্ঞাসাবাদে এমন কিছু তথ্য উঠে আসে যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক জিন প্রকৌশল ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাজমুল হাসান, সদস্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক ড. এ এস এম মুজাহিদুল হক, সদস্য সচিব পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আমিনুল হক। তদন্ত কমিটিকে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকা, ২৪ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এটিএম//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ