Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ১লা মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ইবিতে অনুমোদন ছাড়াই পুরোনো কম্পিউটার সরঞ্জাম বিক্রি!

প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২২, ০৮:৩৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

ইবি লাইভ: অনুমোদন ছাড়াই নামমাত্র মূল্যে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন পুরোনো সামগ্রী বিক্রির অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চারজন কর্মকর্তাকে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্তরা হলেন, এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিপু সুলতান এবং তার তিন সহযোগী বকুল হোসেন, উকিল উদ্দীন ও নাজমুল হোসেন সাবু। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই পুরাতন কিছু জিনিসপত্র বিক্রি করেছে এমন একটি সংবাদ দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে তাদের আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এস্টেট অফিসের এক কর্মচারী জানান, গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর রুম থেকে ৫০ টাকা দরে ৪৩টি কম্পিউটারের পুরনো মনিটর বিক্রি করেছে এস্টেট দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিপু সুলতান। এছাড়াও ভাঙড়ি টিনের দরে (৪১ টাকা কেজি দরে) ৪৩টি সিপিউ, একটি পুরাতন টাইপিং মেশিন, প্রিন্টার, তিনটি ফটোকপি মেশিন এবং গড়পর্তা দামে একটি পুরনো এসি, ২৩ কেজি ওজনের ৬টি লোহার পাইপ, প্রায় সাড়ে চারশ কেজি পুরনো কাগজ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। জিনিসগুলো প্রায় ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় দপ্তরটির সহকারী রেজিস্ট্রার বকুল হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হোসাইন সাবু, কর্মকর্তা সমিতির সদস্য উকিল উদ্দিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে টিপু সুলতান মৌখিকভাবে অনুমোদন নিয়েছেন দাবি করে বলেন, আমি প্রক্টর ও ট্রেজারার স্যারের অনুমতি নিয়েছি। অফিসের চারজন কর্মকর্তা পরামর্শ করে অফিস চলাকালীনই জিনিসগুলো ১৯ হাজার ৮১১ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। যথাযথ নিয়মনুযায়ী গেট পাশের মাধ্যমে মালামাল বাইরে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছিল। একটি পক্ষ আমার সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার জন্য মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছে। যে কারণে আমাকে শোকজ করা হয়েছে আমি সময়মতো তার সঠিক জবাব দেব।

তবে কোনোরকম অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিলাম কমিটির এস্টেট দপ্তরের প্রতিনিধি উপ-রেজিস্ট্রার গোলাম মাহফুজ মঞ্জু। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর রুম থেকে যে কোন সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রে উপাচার্যের অনুমতি নিতে হয়। পরে নিলাম ও বিক্রয় কমিটির মাধ্যমে এগুলো বিক্রি হয়। কিন্তু এই জিনিসগুলো বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি। ভাঙড়ির দরে বিক্রি করে গেট পাস দিয়ে বের করে দিয়েছে। টাকাও সমন্বয় করেনি।

ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, বিষয়টি জানার পর তাদের কাছে লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়েছি। লিখিত বক্তব্য পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো। তারা যদি অনুমতি না নিয়ে থাকে তবে অবশ্যই অপরাধ করেছে।

এর আগেও টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা বেশি মূল্যে ক্রয় এবং অফিসের জিনিসপত্র ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে রয়েছে। এছাড়াও তার সহযোগী সাবুর বিরুদ্ধে লেকের ধারে গাছ কাটার পর বিক্রয়কৃত খড়ির টাকা জমা না দেওয়া এবং উকিলের বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকি দেওয়া, কর্মকর্তা হওয়ার পরও অন্যের নামে কোম্পানির নাম দেখিয়ে নিজে কাজের টেন্ডার নেওয়া এবং কাজ করার অভিযোগ রয়েছে।

ঢাকা, ১৪ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ