Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
পরিষ্কার হয় শুধু জাতীয় দিবসে!

অযত্ন-অবহেলায় ইবির স্মৃতিসৌধ

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২২, ২২:৩৮

আজাহারুল ইসলাম, ইবি: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ছাড়া সারাবছর অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্মৃতিসৌধ। ধুলোবালি আর আবর্জনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা জুতা পায়েই উঠেন এ বেদীতে। অভিযোগ রয়েছে বসে মাদকের আসরও।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যম্পাসভিত্তিক সর্ববৃহৎ এই স্মৃতিসৌধটি ২০০১ সালে ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। লাল ইট, পাথর আর সিমেন্টে গড়া এই স্মৃতিসৌধটিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শুধু এসব দিবসকে কেন্দ্র করেই চলে ধোয়া-মোছার কাজ। এছাড়া বাকি সময় ভরা থাকে ধুলোবালি, কলার খোসা, চিপসের প্যাকেট, টিস্যু, অযাচিত কাগজপত্র সহ নানা আবর্জনায়।

অযাচিত কাগজপত্র সহ নানা আবর্জনায় পরিপূর্ণ ইবির স্মৃতিসৌধ

 

ফলে শিক্ষার্থী ও বহিরাগতরা জুতা পায়েই উঠেন ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাংলাদেশের শহীদদের সম্মান ও স্মৃতি স্মরনার্থে নির্মিত স্থাপত্যটিতে। ধুলোবালির কারণে বৃষ্টি এলে বেদীর মেঝে হয়ে পড়ে কর্দমাক্ত। রাতের বেলায় পর্যাপ্ত আলোক সল্পতার কারণে সেখানে মাদকাসক্তদের আড্ডাসহ নানা অপকর্ম সংঘটিত হয় বলেও জানিয়েছেন কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা। এছাড়া স্মৃতিসৌধের ভেতরে বিভিন্ন সময় প্রেমিক যুগলদেরকে আপত্তিকর অবস্থায়ও দেখা যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জুতা পায়ে বেদীতে অবস্থানরত কয়েকজনের মধ্য থেকে রাকিব নামের কলেজ পড়য়া এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ক্যাম্পাসের বড় ভাইদেরকেও দেখি জুতা পায়ে উঠে। তাছাড়া এখানে প্রচুর ধুলোবালি ও আবর্জনাও রয়েছে। আর জুতা পরে উঠা যাবে না এমন কোন নির্দেশনাও নেই। তাই ভেবেছিলাম জুতা পায়েই উঠা যায়।

জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধের বেদীতে অবস্থান

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিপু সুলতান ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, লোকবল সংকটের কারণে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্মৃতিসৌধটি পরিষ্কার করার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া যাতে কেউ জুতা পায়ে না উঠে এমন নির্দেশনা সংবলিত সাইনবোর্ড লাগানো হবে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা রোজদার আলী রূপম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, স্মৃতিসৌধের জন্য আলাদা নিরাপত্তাকর্মী না থাকায় সবসময় নজর রাখার সুযোগ হয় না। তবে আশেপাশের আনসার সদস্যদের বিষয়টি দেখভালের নির্দেশনা দেওয়া আছে।

মাদকের আসর সম্পর্কে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে আমরা সেখানে অভিযান চালাবো। মাঝে মধ্যে এমন এমন লোকজন স্মৃতিসৌধের ভেতরে যায়, যাদেরকে সন্দেহও করা যায়না ফলে কিছু করতে পারি না।

ঢাকা, ১৩ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ