ইবি লাইভ: আবারও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিলেছে। তবে তিনি একেবারে প্রফেসর। মিস্টি হাসি আর বাহারী ব্যবহার অনেককেই তিনি বসে এনেছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহাকরী প্রফেসর মো: আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।
তার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক মেলামেশা ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের লিখিত অভিযোগ করেছে এক ছাত্রী। এদিকে তাদের উভয়ের প্রায় দেড় ঘন্টার প্রেমালাপের অডিও ক্লিপ প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌছেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ আসকারী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, বিষটির অভিযোগ পেয়ে আমি নজর দিয়েছি। রেজিস্ট্রারকে প্রাথমিক যাচাইয়ের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। সত্যতা প্রমান হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অভিযোগ পত্র সুত্রে, ফিন্যান্স বিভাগের ১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর সাথে ২০১৪ সালের শুরুর দিকে আসাদুজ্জামানের যোগাযোগ শুরু হয়। এক সময় তাদের সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়। পরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর তিনি ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়েছেন বলেও উল্লেখ আছে অভিযোগ পত্রে।
অপরদিকে শিক্ষার্থীর মায়ের অভিযোগ পত্রে তাদের বাসায় যাতায়াত ও বিয়ের প্রলোভনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবরের তাদের ওই ফোনালাপ থেকে প্রেম ও ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। শিক্ষক বিবাহিত জেনেও তার সাথে সম্পর্ক করে ওই ছাত্রী। ফোনালাপ সে বলে, ‘আপনি বিবাহিত তাতে কী হয়েছে? আপনি আমার দায়িত্বও তো নিতে পারেন।’
তবে বর্তমানে তিনি ওই ছাত্রীর সাথে কোন সম্পর্ক না রাখায় তারা উভয়ে ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারীর নিকট অভিযোগ করেছেন। তারা এই কাজকে প্রতারণা উল্লেখ করে প্রয়োজনীয় ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেবার অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘প্রশাসনের একটা অংশ আমার পেছনে লেগে আছে। এসব করে শুধুমাত্র মানুষকে বিব্রত করা হচ্ছে। আমি মনে করি যারা এর কলকাঠি নাড়ছে তাদেরই বিচার হওয়া উচিৎ।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: