লাইভ প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বস এশিয়ার সেরা অনূর্ধ্ব-৩০ বছরের তরুণ সামাজিক উদ্যোক্তা ওসামা বিন নূর বলেছেন, নতুন কোনো কিছু শুরু করতে গেলে ভয়কে জয় করতে হবে। ভয়কে অতিক্রম করতে না পারলে, জীবনে এটিই সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ক্যারিয়ার ক্লাব আয়োজিত ‘অ্যাকসেস লিড টু সাকসেস’ শীর্ষক ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে বিশেষ বক্তা হিসেবে নিজের জীবনের সাফল্যের স্বপ্নগাঁথা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন বাংলাদেশের কৃতি সন্তান ওসামা। উদ্বুব্ধ করেন শিক্ষার্থীদের।
ওসামা বিন নূর বলেন, বড় কিছু করতে হলে ছোট সুযোগগুলো এখনই কাজে লাগাতে হবে। কোনো সুযোগকেই হাত ছাড়া করা যাবে না। দীর্ঘ বক্তৃতায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি, ইন্টার্নশীপ, ফেলোশীপ, ওয়ার্কশপ, স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণমূলক কর্মকা- এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পদ্ধতি নিয়ে তিনি উন্মুক্ত আলোচনা করেন।
এ জন্য ওসামা গড়ে তুলেছেন ‘ইয়ুথ অপরচুনিটিস’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। তিনি জানালেন, অনলাইনভিত্তিক ‘ইয়ুথ অপরচুনিটিসের’ মাধ্যমে সারা বিশ্বের বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আয়োজিত প্রশিক্ষণ, ইন্টার্নশিপ এবং প্রতিযোগিতার খবর জানানো হয়। যার ওয়েব ঠিকানা হচ্ছে (www.youthop.com). বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ থেকে তাদের এই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন তথ্যের জন্য সবাই ঢু মারে।
ওসামা বলেন, অনলাইনে সাফল্যের পর ভার্চ্যুয়াল জগতের বাইরে এমনকি দেশের মফস্বল শহরের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে চাই। নানা সুযোগ-সম্ভাবনার কথা জানাতে সরাসরি আমরা তাঁদের কাছে যাব। এরই অংশ হিসেবে তিনি যবিপ্রবিতে এসেছেন।
ওসামা বিন নূরের সঙ্গে আজকের ওয়ার্কশপে এসেছিলেন ইয়ুথ অপরচুনিটিসের সহপ্রতিষ্ঠাতা মাকসুদ মানিকও। তিনিও তাঁর সাফল্যের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
ওয়ার্কশটি দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। প্রথম ভাগে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক। তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের মধ্যেই কিছু কিছু বিশেষত এবং দক্ষতা থাকে। যদি তারা সুযোগ পায়, তাহলে সে তা কাজে লাগাতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, যদি লক্ষ্য ঠিক না থাকে, তাহলেই কেউই সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে পারবে না। ক্যারিয়ার নিয়ে এই ধরনের ওয়ার্কশপ খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের আশরাফুজ্জামান জাহিদ বলেন, প্রতিটি মানুষেরই স্বপ্ন থাকতে হবে সর্বোচ্চ। যে মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারে না, সে কখনো বড় হতে পারে না। জীবনে হতে হবে জিএমটিটি, অর্থাৎ জাতে মাতাল তালে ঠিক। তিনি বলেন, মানুষ যা চায়, তা যদি সে মন দিয়ে চায় অবশ্যই তা পায়। এ ক্ষেত্রে ঈশ্বরও তাকে সহায়তা করেন।
ওয়ার্কশপের প্রথমভাগের সভাপতিত্ব করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ নাজমুল হাসান।
ঢাকা, ১১ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: