পাবিপ্রবি লাইভ: ‘মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি আমি। হতাশা পেয়ে বসেছে আমাকে। কোনো কিছুতে স্বস্তি পাচ্ছি না। বাবা-মা ক্ষমা করো। এমন কথা বলে না ফেরার পথে পাড়ি জমালেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী। তার মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃস্টি হয়েছে। কিভাবে, কেন, কারা ও এর নেপথ্যে কেউ আছেন কিনা এনিয়ে যেন রহস্যের শেষ নেই।
ক্যাম্পাসে চলছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা। পুলিশ এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম তাহমিদুর রহমান জামিল (২২)। তার সহপাঠিরা বলেছেন ও এমন টাইপের ছেলে নয়! কিন্তু কি হতে কি হয়েছে এবিষয়টি রয়ে গেছে অন্তরালে।
পুলিশ জানায় গেল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার সাফল্য নামের একটি ছাত্রাবাস থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তাহমিদুর রহমান জামিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শাহীবাগ এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে সংশ্লিস্টরা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, শহরের শালগাড়িয়া মেরিল বাইপাস এলাকার সাফল্য নামের একটি ছাত্রাবাসে থাকতেন শিক্ষার্থী তাহমিদুর রহমান জামিল। পারিবারিক কোনো একটি বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন তিনি।
সন্ধ্যার পর ছাত্রাবাসে নিজ কক্ষের ফ্যানের হুকের সঙ্গে ব্যাগের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সাড়াশব্দ না পেয়ে কক্ষের দরজা খুলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেতে পায় সহপাঠীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
ওই ওসি আরও বলেন, ‘‘তাঁর কক্ষ থেকে একটি সুইসাইড নোটও জব্দ করা হয়েছে। সেখানে তিনি লিখে গেছেন, ‘মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছি আমি। হতাশা পেয়ে বসেছে আমাকে। কোনো কিছুতে স্বস্তি পাচ্ছি না। বাবা-মা ক্ষমা করো। গুড বাই।’
এতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় পাবিপ্রবি ছাত্রদের মধ্যে শোক বিরাজ করছে।’ শুক্রবার পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ বলে এলাকাবাসী জানান।
ঢাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: