ইবি লাইভ: আবাসিক হল বন্ধ রেখে ১২ সেপ্টেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার আগেই শিক্ষার্থীদের সকল ফি পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা ভীড় করছেন ব্যাংকে। একটি মাত্র ব্যাংক হওয়ায় সেখানে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। করোনায় স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টাকা জমা দিচ্ছে তারা। তথ্য প্রযুক্তির যুগেও সেকেলে পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলেই অটোমেশন করা সম্ভব বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেল।
শিক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষার আগে ফি দিতে এসে অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ফি দিতে হচ্ছে। করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রশাসন পরীক্ষার আয়োজন করলেও ব্যাংকে ফি জমা দিতে এসে উপচে পড়া ভীড় থাকা সত্বেও দীর্ঘ লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মাত্র ব্যাংক হওয়ায় এই ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা। একইসাথে মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইনে টাকা পরিশোধের পদ্ধতি চালু করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের রেদওয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘প্রযুক্তির যুগে এসে ব্যাংকে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ফরম ফিলাপের জন্য হাতে সময় কম। তাই করোনার মধ্যেই উপচে পড়া ভীড় ঠেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পরিশোধের পদ্ধতি চালু করলে এই ভোগান্তি থেকে শিক্ষার্থীরা রক্ষা পেতাম।’
আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. আহসান-উল-আম্বিয়া বলেন, ‘প্রযুক্তির যুগে উপচে পড়া ভীড় ঠেলে শিক্ষার্থীদের ফি প্রদান করতে হবে এটা মোটেই কাম্য নয়। ইতোমধ্যে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠান পেমেন্ট সিস্টেম ইন্ট্রিগেশন করেছে। কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকলেই ইবিতেও অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিভাগ, হল ও হিসাব শাখাকে অটোমেশনের আওতায় আনতে হবে।’
ঢাকা, ১৯ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: