আজাহার ইসলাম, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। একাডেমিক কমিটির মতামতের জন্য প্রতিটি বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছি। সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যাপারে বেশি মতামত এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘ভিসি স্যার ট্রিটমেন্ট শেষ করে আসলেই দ্রুততম সময়ে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং হবে। কাউন্সিলের মতামতের ভিত্তিতে অনার্স ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে নাকি সশরীরে হবে; সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
শনিবার (২৯ মে) শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি গ্রহণের ব্যাপারে জানতে চাইলে ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যপারে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। ভিসি স্যার আসলেই দ্রুততম সময় অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিং হবে। সরকারী নিষেধাজ্ঞা না থাকলে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় খোলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
প্রসঙ্গত, আগামী ১ এক জুন হল ও ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক করাসহ ৪ দফা দাবিতে ভিসি ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় ভিসির অনুপুস্থিতিতে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
শিক্ষার্থীদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আগামী ১ জুন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা, স্থগিত ও আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো গ্রহণে রোডম্যাপ প্রণয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের দ্রুত ভ্যাকসিন নিশ্চিত করণ এবং করোনাকালে শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ নিশ্চিত করণ।
এর আগে একই দাবিতে গত ২৪ মে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। পরে গত ২৭ মে গলায় দড়ি দিয়ে প্রতিকী ফাঁস নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। এছাড়াও সেদিন বিক্ষোভ মিছিল, ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
ঢাকা, ২৯ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: