ইবি লাইভ; ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৩-২০১৪ সেশনের ছাত্র সালমান সাহাদাত বলেন, ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা বন্ধুরা আমার জন্য যা করেছেন তা ইতিহাসে বিরল। আমার যখন মৃত্যু নিশ্চিত তখন বন্ধুরা যেভাবে সহযোগিতা করলেন তা আমি কোনদিনও ভুলতে পারবো না। যেখান থেকে ফেরা অসম্ভব, সেখান থেকে ফিরেছি।
সালমান আরও বলেন, যখন আমি ক্যান্সার নামক মরণ ব্যাধিতে ভুগতেছিলাম তখন চিকিৎসার জন্য প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকার প্রয়োজন ছিল তা আমার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব ছিল না। তখন বন্ধুরা সবাই মিলে ছোট-বড় সবার কাছে হাত পেতে ১৭ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা উত্তোলন করল। সেই টাকা আমার চিকিৎসার জন্য খরচ করেছে।
তিনি আরো বলেন, বন্ধুদেরকে দেওয়ার মতো আমার কিছুই নেই। তবে তোমরা যে স্বপ্ন দেখেছো তা পূরণ করার চেষ্টা করব।
এ বিষয়ে সালমানের বন্ধু আব্দুর রাজ্জাক রাজ বলেন, সবচেয়ে ভাল লাগার বিষয় হলো সে আমাদের মাঝে আবার ফিরে এসেছে। তবে একটা জিনিস সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে যখন আমরা টাকা আদায় করতে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, তখন আমাদেরকে অনেকে চিটার-বাটপার বলেছে।
রাজ আরো বলেন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে খুব একটা সহযোগিতা পায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ থেকে মাত্র ২০ হাজার টাকা পেয়েছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এমন একটি ফান্ড খোলার জন্য, যাতে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কেউ মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাশে দাড়াতে পারে।
এ দিকে সুস্থ্য সালমান ইতোমধ্যে ক্লাস শুরু করেছে। তাকে পেয়ে তার বন্ধুরা আনন্দে মেতে উঠেছে। তাদের প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। তারা আবেগঘন কণ্ঠে বলেছে, পৃথিবীর সব বন্ধুরা যেন তাদের বন্ধুদের পাশে থেকে সালমানদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে।
ঢাকা, ১৮ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: