চুয়াডাঙ্গা লাইভ : ইজিবাইকে করে প্রেমিকের সঙ্গে ডেটিংয়ে পার্কে গিয়েছিলেন এক ছাত্রী। তবে পার্কে প্রেমিককে না পেয়ে ভাড়া দিতে পারেননি তিনি। পরে বাড়িতে ফেরার পথে ছাত্রীর সর্বনাশ করে দিয়েছে কয়েক লম্পট। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় এমন ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। গভীর রাতে আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্য ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার জিম্মায় নিয়ে রাখেন। পরে তার স্বজনদের খবর দিয়ে ওই ছাত্রীকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে প্রভাবশালীদের চাপের মুখে কোন মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না ওই ছাত্রী।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী রোববার বিকেলে একটি ইজিবাইক আড়াইশ’ টাকায় রিজার্ভ করে। ইজিবাইক তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শিশুস্বর্গ নামক পার্কের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে ওই স্কুলছাত্রীর কথিত প্রেমিক আসার কথা ছিল। সে এসে ইজিবাইকের ভাড়া মেটাবে এমনটি কথা ছিল। স্কুলছাত্রী জানায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সাতগাড়ি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম তাকে চুয়াডাঙ্গায় আসতে বলেছিল। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও সে না আসায় ভাড়ায় নেয়া ইজিবাইকেই সে ফিরছিল।
আলমডাঙ্গার দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের আশাদুল হকের ছেলে ইজিবাইক চালক সোহেল রানা ভাড়া না পেয়ে সুযোগ ধরে। সে তার আরেক বন্ধু পার্শ্ববর্তী বড় পুঁটিমারী গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে ইউসুফকে ডেকে নেয়। তারা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ পশুহাট-বেতবাড়ীয়া সড়কের মাঠের ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যায় রাত ৮টার দিকে। সেখানে সোহেল ও ইউসুফ পালাক্রমে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে তারা স্কুলছাত্রীকে মাঠে একা ফেলে পালিয়ে যেতে চাইলে স্কুলছাত্রী ভয়ে কান্নাকাটি করতে থাকে। এ সময় রাস্তার রেল লাইনের ধার থেকে স্কুলছাত্রীকে পুনরায় মাঠে নিয়ে যায় দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে রনক ও ছানোয়ার হোসেনের ছেলে মাসুম আলী। তারাও তাকে ধর্ষণ করে। পরে ইউপি সদস্য হাসিবুল হক ওই ছাত্রীকে তার বাড়িতে নিয়ে রাখেন। সোমবার সকালে তার পরিবারের কাছে খবর পাঠিয়ে স্কুলছাত্রীকে তুলে দেয়া জয়।
হাসিবুল হক বলেন, রাতে আমার হেফাজতে থাকা মেয়েটি ধর্ষণের ব্যাপারে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই হাকিম জানান, রাতে একটা ঘটনা শুনেছিলাম। সকালে গিয়ে মেয়েটাকে আর পাইনি।
ঢাকা, ১৪ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: