Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ২৮শে এপ্রিল ২০২৪, ১৫ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ইবিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এক শিক্ষক বরখাস্ত,ছাত্রত্ব বাতিল

প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০১৭, ০২:৪৪

 

ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

একই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মচারীকে বরখাস্ত ও এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলসহ পূনরায় পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৩তম সিন্ডিকেট সভায় এ সকল সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে বলে ক্যাম্পাসলাইভকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও সিন্ডিকেট সভার সভাপতি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১১ টায় ভিসি প্রফেসর ড. রাসিদ আসকারীর সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৩ তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সভায় প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহাসহ মোট ১৮ সদস্যের ১৭ জন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ‘এফ’ ইনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ৪ মার্চ তদন্ত কমিটি সমস্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

ওই প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে সোমবার সিন্ডিকেট সভায় সভায় ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এতে ‘এফ’ ওই ইউনিটের সম্বয়কারী ও গণিত বিভাগের এ্যসিস্টেন্ট প্রফেসর নূরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত ও আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া পরীক্ষা কমিটিতে থাকা অপর দুই সদস্য গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান ও পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন রাসেলকে সতর্কবার্তা দিয়ে আগামী দুই ভর্তি পরীক্ষায় তাদেরকে ভর্তি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

একই সাথে ওই ঘটনায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই কর্মচারী আলাউদ্দিন আলাল (লাইব্রেরী) ও সাইফুল ইসলামকে (অর্থ ও হিসাব শাখা) সাময়িক বরখাস্ত এবং কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার কারনে গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মনোজিৎ মন্ডলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তার অর্জিত সকল সার্টিফিকেট বাতিল করেছে সিন্ডিকেট সভা।

ঘটনায় জড়িত মিজানুর রহমান লাল্টু নামের স্থানীয় এক ডাক্তার প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত থাকার কারনে দেশের প্রচালিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এদিকে, ‘এফ’ ইউনিটের বাতিল হওয়া এই পরীক্ষা পূনরায় গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট সদস্যরা। এই ভর্তি পরীক্ষায় ‘এফ’ ইউনিটে আবেদনকারী ২৯৪৪ জন ভর্তিচ্ছু আবার পরীক্ষা দিতে পারবে।

এছাড়া পরীক্ষার নতুন সময় সূচি আগামীকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা শেষে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী।

ড. রাশিদ আসকারী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন,‘ সিন্ডিকেট সভায় পরীক্ষা বাতিল করে পরবর্তিতে এই পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

এসময় তিনি বলেন‘ তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছেন আমরা তার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নিয়েছি। এক শিক্ষক, দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত ও এক ছাত্রকে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়েছে।

এছাড়া অন্য যে দুই জন শিক্ষককে সতর্ক করা হয়েছে তারা ঘটনার সাথে জড়িত নন, তবে সিন্ডিকেট মনে করেছে যে তাদের আরো সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিলো, যে কারণে তাদেরকে সতর্ক করে পরবর্তি দুই ভর্তি কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এবিষয়ে ‘এফ’ ইউনিটের সমন্বয়ক এ্যসিস্টেন্ট প্রফেসর নূরুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন,‘ আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এখনো লিখিত পাইনি।

লিখিত পেলে আমার বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ করা হয়েছে তা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। তবে আমি শতভাগ নিদোর্শ।’

 

ঢাকা, ০৬ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড

 

 

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ