সাতক্ষীরা লাইভ: সামনে তাদের এসএসসি পরীক্ষা। এরই মাঝে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে তারা। শুধু তাই নয় ওই পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে প্রাণ দিয়েছে ওই দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী।
ছাত্রীর আত্মহত্যার খবর শুনে বয়ফ্রেন্ড আত্মহত্যা করার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়া ওই দুই পরীক্ষার্থী হল ঝিকরগাছার মোমিন মোড়লের ছেলে ইটালি প্রবাসী রনি মোড়লের স্ত্রী স্মৃতি খাতুন এবং শিমুলিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে আল-আমিন।
এলাকাবাসি জানান, বছর তিনেক আগে পারিবারিকভাবে স্মৃতি খাতুনের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিয়ে হয় তার ফুফাতো ভাই ইটালি প্রবাসী রনি মোড়লের। বিয়ের পর থেকে রনি মোড়ল দেশে না ফিরলেও স্ত্রীকে নিয়মিত ভরনপোষন দিয়ে আসছিলেন।
স্মৃতি খাতুন বাবার বাড়ি কলারোয়ার পাটুলিয়া পাশের গ্রাম ঝিকরগাছার মুকুন্দপুরের শ্বশুর বাড়িতেও যাতায়াত করতো। পার্শ্ববর্তী ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া হাইস্কুলে পড়াশুনো করতো সে। স্কুলে যাতায়াতের সূত্র ধরে একই ক্লাসের ছাত্র আল-আমিনের সাে সখ্যতা থেকে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে স্মৃতি।
এরই এক পর্যায়ে পরকীয়া প্রেম আসক্তির বিষয়টি জানতে পেরে স্মৃতির বাবা-মা ৯ নভেম্বর সকালে স্মৃতিকে তার নানা আব্দুল খালেকের বাড়ি কলারোয়ার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে রেখে আসে। কিন্তু প্রেমের টানে সেখানেও হানা দেয় বয়ফ্রেন্ড আল-আমিন। ওই দিন বিকেলে নানা বাড়ির ছাদে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্মৃতি। তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনায় নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ নভেম্বর শুক্রবার রাতে মৃত্যুবরণ করে স্মৃতি খাতুন।
মৃত্যুর সংবাদ জানতে পেরে যশোরের রূপদিয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থানরত আল-আমিন ওই রাতেই বিষ পান করে। তাকে যশোর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ নভেম্বর শনিবার বিকালে মারা যায় আল-আমিনও। শনিবার রাতে শিমুলিয়া গ্রামে আল-আমিনের দাফন সম্পন্ন হয়।
ঢাকা, ১৮ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: