ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলানোয় ক্যাম্পাস যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পর্যাপ্ত ডাস্টবিনের অভাব, ড্রেনেজ ব্যবস্থা দূর্বল হওয়া, ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীদের অসচেতনতা ও লোকবলের অভাবে এমনটা হচ্ছে।
গত ৪ ও ৫ নভেম্বর ইবিতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ক্যাম্পাস সেজেছিল নতুন সাজে। ঝোপ-ঝাড় কেটে, সড়ক সমূহ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে এক নতুন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছিল ক্যাম্পাসটি।
ভর্তি পরীক্ষায় আগত অতিথিদের বরণ করতে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের সাথে সাথে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও যেন প্রস্তুতি নিয়েছিল। হল সংলগ্ন এলাকায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে প্রায় অর্ধশতাধিক দোকান-পাট দেখা যায়।
এছাড়া ক্যাম্পাসের মেইন গেট সংলগ্ন এলাকাতেও অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালায়। ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়ী কার্যক্রম ঠিকমতো শেষ করলেও এখনো যত্রতত্র কাগজের টুকরা, খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিক, খাবারের উচ্ছিষ্ট, ডিমের খোসা, পচা ভাত ড্রেনে জমে থাকতে দেখা গেছে।
মাঝে মাঝে ড্রেন পরিস্কার করা হলেও ময়লাগুলো সড়কের উপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। ড্রেনেজ ব্যবস্থা তেমন ভালো না হওয়ায় ভাত, মাছের উচ্ছিষ্ট, মাংসের হাড় ড্রেনে পড়ে পানি আটকে গেছে। যার ফলে এগুলো পঁচে ক্যাম্পাসের চারিদিকে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, লালন শাহ হলের সামনে কয়েক জায়গায়, সাদ্দাম হলের সামনের সড়কের পাশ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু পুকুর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে, বঙ্গবন্ধু পুকুর পাড়ে, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সম্মুখ দেওয়ালের পার্শ্বে ময়লার বড় বড় স্তুপ। এসব জায়গায় থেকে ময়লা-আবর্জনা পঁচে দূর পর্যন্ত দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
এছাড়া ক্যাম্পাসের দুই খেলার মাঠ, মেইন গেট সংলগ্ন এলাকা, বিভিন্ন অনুষদ ভবনসহ সর্বত্র পড়ে আছে লিফলেট, ফেস্টুন, কাগজের টুকরা। মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরাল, শহিদ মিনার, স্মৃতি সৌধ, মুক্তবাংলা চত্ত্বর আল- ফিকহ্ এন্ড লিগাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা শেষ হলেই পরিস্কার-পরিচ্ছনতার কাজে লেগে পড়ে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
এছাড়া হলগুলোতে তেমন ডাস্টবিনের ব্যবস্থা না থাকায় হলের অভ্যন্তরে এবং চতুর্দিকে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ ব্যাপারে সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন নীল বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অতি শীঘ্রই ক্যাম্পাস -পরিস্কার- পরিচ্ছন্ন করুন। চারিদিকের উৎকট দূর্গন্ধ আর সহ্য করতে পারছি না।
দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মুক্তা বলেন, ক্যাম্পাসে হাঁটতে গেলে এখন নাক বেঁধে বের হতে হচ্ছে। ড্রেনগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক।
এ বিষয়ে এস্টেট শাখার প্রধান (পরিচালক) মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, 'পর্যাপ্ত লোক না থাকায় ক্যাম্পাসের সর্বত্র পরিস্কার করতে দেরি হচ্ছে। অতি শীঘ্রই আমরা কাজ শুরু করবো।'
ঢাকা, ০৭ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: