ইবি লাইভ: আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে গেছে ক্যাম্পাসের ১৭৫ একরের প্রতিটি প্রান্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, "আমরা ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ক্যাম্পাসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করছি। কোন চক্র চেষ্টা চালালে আমরা তাদের প্রশমিত করার চেষ্টায় আছি। আবার যদি সেই চক্র কোন প্রকার চক্রান্তের চেষ্টা করে, তবে সে নিশ্চিত ফাঁদে পড়বে।"
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, এবারের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যবারের তুলনায় এবারে প্রক্সিবাজ ও জালিয়াতকারীদের প্রশ্ন জালিয়াতি ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিএনসিসি,রোভার স্কাউট, পুলিশ, পোশাকধারী সাদা পোশাকধারী র্যাব, ডিএসবি সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কড়া নজরদারী থাকবে।
এতোমধ্যে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাব তাদের গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করেছে। বর্তমানে পুরো ক্যাম্পাস অত্যাধুনিক পিটিজেট ও বুলেট ক্যামেরার আওতায় রয়েছে। এদিকে ভর্তি পরীক্ষার নিরাপত্তা সংক্রান্ত নিয়মাবলী প্রকাশ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা যায়।
যার মাধ্যমে যেকোন অপরাধীকে তাৎক্ষণিকভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। প্রধান ফটক ও ভবন সমূহের গেটে পরীক্ষার্থীদের ইলেক্ট্রিক ডিভাইস শনাক্তকরণের জন্য আর্চওয়ে গেট ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে সার্চ করা হবে।
রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে, ইউনিটের পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত পরীক্ষা শুরুর পর হতে শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারী ভবন থেকে বাইরে আসতে পারবে না। পরিদর্শন কাজে নিয়োজিত কোন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্ধারিত কক্ষের বাইরে অবস্থান করতে পারবে না। অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র ও ওএমআর শিট পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার কক্ষ হতে বাইরে আনা যাবে না। কোন অবস্থাতেই পরীক্ষার হলে দ্বায়িত্বরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগন মোবাইল ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারবে না।
পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণের ব্যক্তিগত যানবহন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেইটের নির্ধারিত স্থানে রাখতে হবে এবং যত্রতত্র চলাচল করতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা থানা গেইট, লালন শাহ ও বঙ্গবন্ধু হল সংলগ্ন মুভিং গেইট ব্যবহার করবে।
অভিভাবকদের জন্য ইবি থানা সংলগ্ন মাঠে বসার ব্যবস্থা থাকবে এবং পরীক্ষার্থীর ব্যাগ, মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী রাখার জন্য মূল ফটকের দু'পার্শ্বে হেল্প ডেস্ক থাকবে। ভর্তি পরীক্ষার কাজে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কোন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বায়িত্ব পালনে অপারগ হলে পরীক্ষার ১২ ঘন্টা পূর্বে সংশ্লিষ্ট ইউনিটকে অবহিত করবেন।
ঢাকা, ১ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: