Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ২০শে মে ২০২৪, ৫ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

নানান সমস্যায় ইবি ছাত্রলীগ, তিন সদস্য তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ১ নভেম্বার ২০১৮, ০১:২১

ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ নানান সমস্যায় ভূগছে। এসব উত্তরণে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তিন সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অন্যদিকে ক্যাম্পাসে যৌক্তিক আন্দোলনে পাশে থাকায় ইবি ছাত্রলীগ শাখা কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি ফি সহ সকল ফি বৃদ্ধি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর প্রতিবাদে সম্প্রতি আন্দোলন করছে ওই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এতে একাত্মতা ঘোষণা করেছে শাখা ছাত্রলীগ। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করাই কাল হয়েছে ছাত্রলীগের।

বিষয়টি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ভুলভাবে উপস্থাপনের কারনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে বলে দাবি নেতাদের।

গত রবিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে। এতে হতাশা বিরাজ করছে নেতাকর্মীদের মাঝে।

ছাত্রলীগ নেতারা জানায়, স্থগিত হওয়া কমিটির নেতাকর্মীদের হাত ধরেই শিবির মুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রগতিশীল চর্চার অন্যতম সুতিকাগার হিসেবে গড়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে অভুতপূর্ব সাফল্য দেখানোর পরও কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে হাতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে নেতাকর্মীরা।

সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী এবং প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের অভিযোগের ভিত্তিতে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে নেতাকর্মীদের থেকে সিভি বাবদ টাকা নেওয়া, সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্ত্বতা ঘোষণা করে প্রশাসনকে অসহযোগিতা, শিক্ষকদের কাছে টাকা দাবিসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়।

আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

জানা যায়, সম্প্রতি বর্ধিত ফি আদায়ের বিরুদ্ধে সাধারন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করার কারণে প্রশাসন ছাত্রলীগের উপর ক্ষিপ্ত হয়।

এর জেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক কর্তাব্যক্তি কেন্দ্রের কাছে শাখা ছাত্রলীগকে নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ দিয়েছে বলে দাবি ছাত্রলীগ নেতাদের। এ অভিযোগকে উদোর দোষ বুুদোর ঘাড়ে দেওয়ার চেষ্টা বলেও মনে করছেন ছাত্রলীগের নেতারা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশন ফি, হল, ফি, পরিবহন ফি সহ ১৯টি খাতে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা ধরা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে খাত বৃদ্ধি করে ৩২ টি করা হয়। সাথে সাথে ভর্তির ফি ধরা হয় পূর্বের বছর থেকে তিনগুন বেশি।

২৩৭ তম সিন্ডিকেটে ভর্তি ফি পাঁচ হাজার থেকে এক লাফে ১৩ হাজার টাকায় ধার্য করে।
বছর না পেরোতেই ভর্তির আবেদনের ফিসও বাড়িয়ে দেয় প্রশাসন। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে আটটি ইউনিটের প্রতিটি ইউনিটে ৫০০ টাকা ছিল ভর্তির আবেদন।

এ বছর চারটি ইউনিটের মধ্যে ভর্তির আবেদন ‘এ’ ইউনিটে ৫০০, ‘বি’ ইউনিটে ১৫০০, সি ইউনিটে ৮০০ এবং ‘ডি’ ইউনিটে ১৩০০ টাকা নির্ধারণ করে প্রশাসন।

এর প্রতিবাদে ১৫ অক্টোবর শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম একাত্মতা ঘোষনা করেন।

প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের এ অবস্থানটি মেনে নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
এসময় প্রশাসনের দায়িত্বরত কর্তাব্যক্তিরা এ আন্দোলনকে অযৌক্তিক ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দেয়।

এছাড়াও প্রশাসনের এক কর্তাব্যক্তি এ আন্দোলনকে সরাসরি ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আছে বলে মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন 'ক্যাম্পাস লাইভকে' বলেন, ‘ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল চর্চায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে শাখা ছাত্রলীগ ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। তবে সাম্প্রতিক বর্ধিত ফিস'র বিরুদ্ধে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেয়ায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে আমাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।’

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,‘ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কিছু অভিযোগ পেয়েছি।

এছাড়া কিছু কর্মীও একই অভিযোগ করে। এরই প্রেক্ষিতে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলেই সব খোলাসা হবে।’

তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- আল নাহিয়ান খান জয়, মো. শাখিল ভুইয়া ও জাহাঙ্গীর মঞ্জিল পিপাস। এ ছাড়া তদন্ত কমিটিকে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্য তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

 

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ