Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

অভিযুক্ত তিন শিক্ষকের বিষয়ে জবাব দিলো ইবি প্রশাসন

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবার ২০১৮, ২২:৫৩

ইবি লাইভ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের বিচার চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রশাসনকে পাঠানো পত্রে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের বিচার চেয়ে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন চাওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিসি ড. রাশিদ আসকারী বলেন, ‘আমরা দুদকে প্রাথমিক একটি জবাব দিয়েছি। আমাদের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শোকজের জবাব না দেয়ায় একটু বিলম্ব হচ্ছে। আগামী সিন্ডিকেটেই এ ঘটনার চূড়ান্ত বিচার করা হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ জানান, ‘আমরা দুদকের চিঠি পেয়ে গত বুধবার জবাবও দিয়েছে প্রশাসন। যেখানে বিচার প্রক্রিয়াধীন এবং বিচারের অগ্রগতি জানিয়েছি। তাছড়া অভিযুক্ত শিক্ষকরা এখনো কারণ দর্শাননি। নোটিশপ্রাপ্তি থেকে কারণ দর্শানোর এখনো ৩-৪ কার্যদিবস বাকি আছে।’

জানা গেছে, শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যে অভিযুক্ত দুই প্রফেসর ও এক অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের বিরুদ্ধে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে’ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া চিঠির জবাব দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ৯ অক্টোবর দুদকের পক্ষ থেকে চিঠিটি পাঠানোর পর ২৪ অক্টোবর এর জবাব দিয়েছে ইবি কর্তৃপক্ষ।

দুদকের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসাইন আজাদ, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. বাকি বিল্লাহ বিকুল এবং ইতিহাস বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের সদস্য ও বিভাগের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুদক ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণান্তে’ তা কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দিলেও বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ার আগেই গত বুধবার, ২৪ অক্টোবর চিঠির জবাব দিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই চিঠিতে ‘বিচার প্রক্রিয়াধীন এবং বিচারের অগ্রগতির কথা’ উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি নিয়োগ বাণিজ্যে প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীরের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের লেকচারার নিয়োগে বাণিজ্যের কথোপকথন ফাঁস হয় সংবাদমাধ্যমে। এর ভিত্তিতে গত ১৬ জুলাই প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসেন এবং ড. বাকি বিল্লাহ বিকুলকে প্রশাসনিক পদ থেকে বরখাস্ত করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে প্রশাসন।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ১ অক্টোবর ড. শাহাদাৎ হোসেন এবং ড. বাকি বিল্লাহ বিকুলকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ২৪২তম সিন্ডিকেট। তবে এখনো কারণ দর্শাননি তারা।

 

 

ঢাকা, ২৬ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ