Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের আত্মহত্যা, বাবাকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবার ২০১৮, ১৯:৪৭

ইবি লাইভ : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্র নাজমুল হাসান ভয়ংকর পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি ফেইসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিতেন। ওই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়াশোনা করতেন। শুক্রবার রাত পৌনে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের ২২৯ নং কক্ষে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ফেইসবুকে তিনি বাবাকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন : আব্বু আজ আপনাকে নিয়ে লিখছি। দীর্ঘ পথ সাইকেলের প্যাডেল ঘুরিয়ে পাড়ি দেন আপনি একা একা। আমার কোন শখই অপূর্ণ থাকতে দেন না। আব্বু খুব ছোটবেলা থেকে দেখছি আপনার শার্টের হাতা কখনও ছোট হয় না, ছেড়া শার্টটা আবার সেলাই করে নেন। জুতার বয়স বাড়ে তবুও চলতে থাকে। এমনকি কোন ঈদে দেখলাম না নতুন একটা জিনিস কিনতে। একটা পাউরুটি খেয়েই পার করে দেন দুপুরের খাবারটা। ২৪ ঘন্টাই ৩৬ রকমের কাজ, চোখে একফোটা ঘুম নাই। ছেলে কখন টাকা চাইবে। আব্বু লক্ষী ছেলের মত তোমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে মন চায়। আর তুমি যখন মাকে বকুনি দাও, তখন আমারও ইচ্ছে তুমিও একটু আমাকে বকুনি দাও, মন চায় আমাকেও একটু শাসন কর তুমি। তোমারাই বিশ্বাসের একমাত্র জায়গা। এই জীবন তোমাদের থেকেই পাওয়া, তোমাদের জন্যই দিব।

জানা গেছে, নাজমুলের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার বারাত নামক গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল মালেক গাজী এবং মাতা রোকেয়া বেগম। তার সহপাঠীরা জানায়, নাজমুল হাই প্রেসারের রোগী। বেশ কিছুদিন ধরে সে অসুস্থ্যতার মধ্যে ছিল। প্রতিদিন সে ১২টি করে ট্যাবলেট সেবন করত এবং সবসময় বিষণ্ণতা ও হতাশার মধ্যে থাকতো।

নাজমুলের বন্ধু নাদিম, সাগর, আব্দুল্লাহ তার আত্মহত্যার বিষয়ে জানায়, দুর্গা পূজার ছুটিতে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় নাজমুলের রুমমেটরা সবাই বাড়িতে গেছে। এর মধ্যে নাজমুল গত কয়েকদিন ধরে একা রুমে থাকে। আমরা তাকে বিভিন্ন সময় বাইরে ঘুরতে যাওয়ার কথা বললেও সে যেতে তেমন রাজি হত না এবং সবসময় হতাশার মধ্যে থাকতো। শুক্রবার সন্ধ্যায় নাদিমকে ফোন করে তার রুমে আসতে বলে নাজমুল। পরে নাদিম নাজমুলের রুমে গিয়ে দেখে রুম ভেতর থেকে বন্ধ করা। এরপর নাদিম নাজমুলকে কয়েকবার ডাকার পরও কোন সাড়া না পেয়ে সে রুমের দরজা ধাক্কা দিতে থাকে।

একপর্যায়ে পাশের রুমের কয়েকজন শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে রুমের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এরপর দরজা ভেঙ্গে রুমে ঢুকে তারা দেখে নাজমুলের গলায় ফাঁস দেওয়া। এরপর তারা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত ডাক্তার বদিউজ্জামান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা, ২০ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ